প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
সকালে বই-খাতাণ্ডকলমসহ স্কুল ব্যাগ নিয়ে স্কুল প্রবেশের পর নিয়মানুযায়ী প্রত্যেকে হাজিরা দেয়। এরপর নিজেরা ১০ টাকা ২০ টাকা করে চাঁদা উঠিয়ে এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের দেয়া আরো কিছু টাকা একত্রিত করে সকলে মিলে পাশের বাজারে গিয়ে চাল-ডাল-সবজি ক্রয় করে। এরপর নিজেরাই বসে যায় রান্না করতে। দুই তিন ঘণ্টার পরিশ্রমের পর নিজেদের রান্না করা খাবার প্রথমে শিক্ষকদের এবং পরে নিজেরা খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুললো। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরের কে আর আইডিয়েল স্কুলের।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদ তালুকদার জানান, শিক্ষার নূতন কারিকুলাম অনুযায়ী জীবন-জীবিকার বিষয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিজেরা বাজার করা থেকে শুরু করে রান্না সবকিছুই শিক্ষার্থীরা করেছে। শিক্ষকরা তাদের সহায়তা করেছে ক্লাসের মতো।
বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী দিলারার আক্তার রুমি, সাদিয়া, মইনউদ্দিন, পিয়াল, তুষারসহ অন্যরা জানান, আমাদের বাড়িতে মা প্রতিদিন আমাদের জন্যে রান্না করে। আর বাবা হাট থেকে চাল-ডাল-সবজি কিনে নিয়ে আসে। আজ আমরা তাদের কাজটুকু কীভাবে করে সেটার বাস্তব জ্ঞান নিলাম। খুব ভালো লাগছে।
শিক্ষার্থীদের এমন আয়োজন দেখতে গিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, সরকার চাচ্ছে শিক্ষার্থীরা বাস্তবজ্ঞান লাভ করুক। সেইজন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনেছে। আজ তার বাস্তবতা দেখতে আসলাম। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
এ সময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জি এস তছলিম, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুম তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।