প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
নিজের শ্রম ও কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে গড়ে তোলা প্রসিদ্ধ নাহার এগ্রো ডেইরী ফার্মের বর্জ্য নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ফলে বিপাকে পড়েছেন ফার্মের মালিক মোঃ রহমত। ফার্মের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি খাল বন্ধ করে দেয়ায় ওই ফার্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে মালিক পক্ষ।
ফরিদগঞ্জের ২নং বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের দেইচর গ্রামে গড়ে তোলা রহমত মিয়ার বাড়ির পাশে থাকা খালটি ভরাট করে রাখায় নাহার এগ্রো ডেইরী ফার্মের বজ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়ায় ব্যবসায়ীকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন ফার্মের মালিক মোঃ রহমত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ফার্মে প্রায় একশ’ গরু লালন-পালন করা হতো। এখন নিরূপায় হয়ে উক্ত ফার্মের মালিক বাড়ির পাশর্^বর্তী এলাকায় ৮০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে তাতে নতুন করে ফার্মের কার্যক্রম চালানোর জন্যে তড়িঘড়ি করে ঘর নির্মাণের কাজ করছেন শ্রমিকরা।
গতকাল সরেজমিনে দেইচর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, একদল শ্রমিক মোঃ রহমতের জায়গায় নাহার উেইরী ফার্মের নূতন ভবন নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতিমধ্যে নুতন ভবনের প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে মালিক পক্ষ দাবি করছে।
নাহার উেনরী ফার্মের তদারকির দায়িত্বে থাকা মোঃ হোসেন বলেন, আমার মামা মোঃ রহমত বহু কষ্ট করে তার বাড়ির পাশে ৩ বছর ধরে নাহার ডেইরী ফার্মটি প্রতিষ্ঠা করে গরু লালন-পালন করে আসছিলেন। এক সময় এই ফার্মে প্রায় একশ’ গরু ছিলো। বর্তমানে ফার্মে গরু আছে মাত্র ৫০টি। বাড়ির পাশের খাল বন্ধ করে দেয়ার ফলে ফার্মের বর্জ্য নিষ্কাশনে বাধা হয়ে থাকায়, পরিবেশের কিছুটা দূষণ হচ্ছে। এই দূষণ থেকে বাঁচতে জরুরি ভিত্তিতে এই ফার্মটি অন্যত্র সরানোর জন্য কাজ চলছে।
নাহার এগ্রো ফার্মের মালিক মোঃ রহমত বলেন, এলাকারই কতিপয় দুষ্টচক্র আমার সাথে শত্রুতাবশত বাড়ির পাশে থাকা খাল বন্ধ করে দেয়ায় আমি এখন ব্যবসায়িকভাবে চরম আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। যে কারণে বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীর স্বার্থ বিবেচনায় এনে নিজ খরচে জায়গা ক্রয় করে তা অন্যত্র সরানোর জন্য জোরেশোরে কাজ চলছে। আগামী ১৫-২০ দিনে মধ্যেই আমার গড়া নাহার এগ্রো ডেইরী ফার্মটি স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান এএইচএম হারুন-অর-রশিদ গতকাল শুক্রবার এ প্রতিনিধিকে বলেন, ওই এলাকায় খাল বন্ধ কিংবা ভরাট করে রাখার বিষয়টি কেউই আমাকে জানায়নি। তবে উক্ত ফার্মের মালিক রহমত নিজ খরচে জায়গা ক্রয় করে তা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কাজ করছে বলে আমি নিশ্চিত হয়েছি।