প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
সাধারণত পুলিশ অফিসারদের আমজনতা দারোগা হিসেবে বলে থাকে, কিন্তু হাজীগঞ্জ থানার এক অফিসারকে স্থানীয়রা দারোগা বা স্যার না ডেকে মিছবাহ ভাই ডাকে। এই মিছবাহ ভাইয়ের মূল পদবি আর নাম হলো উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ মিছবাহুল আলম চৌধুরী। গত ২৫ মাস ধরে হাজীগঞ্জ থানায় কর্মরত রয়েছেন তিনি। এর আগে কর্মরত ছিলেন র্যাব-১১তে। হাজীগঞ্জ থানায় যোগদানের পরেই যেন জ্বলে ওঠেন। ক্লুলেস মামলার তথ্য উদ্ঘাটন, মাদকের বড় বড় চালান জব্দ, বহুবার থানার শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শক পুরস্কার পাওয়াসহ একের পর এক তথ্য উদ্ঘাটনে পারদর্শী দারোগা মিছবাহ হিসেবে নয়, এখন তিনি হাজীগঞ্জবাসীর কাছে মিছবাহ ভাই হিসেবে বেশি পরিচিত লাভ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রামের সন্তান বাংলাদেশ পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ মিছবাহুল আলম চৌধুরী। র্যাব থেকে হাজীগঞ্জ থানায় যোগদান করেন ২০২১ সালের আগস্টে। এর পরেই একের পর সাফল্য ধরা দিচ্ছে তার ঝুড়িতে। ইতিমধ্যে তিনি মাদককারবারীদের কাছে আতঙ্কের নাম হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন। সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট ৩২ বছরের পলাতক হত্যা মামলার আসামি মোহাম্মদ লাভলু (৫৫) নারায়ণগঞ্জ চাষারা এলাকা হতে গ্রেফতার করেন। চলিত মাসের ১০ তারিখে টোরাগড় থেকে ১শ’ পিচ ইয়াবাসহ আমান উল্লাহ (৩০) নামের এক মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেন। একই তারিখে একটি পিকআপ ট্রাককে ধাওয়া করে পৌর এলাকার খাটরা বিলওয়াই হতে একটি পিকআপ, ৩০ কেজি গাঁজা এবং ১৫ বোতল হুইস্কিসহ মতলব দক্ষিণের আসামি মমিন পাটোয়ারী (৩০)কে গ্রেফতার করেন। গত ১৪ তারিখে উচ্চগাঁওয়ে ৮শ’ পিচ ইয়াবাসহ যুবলীগ নেতা জাকির হোসেন শাহিন (৪৪) ও আজাদ গাজী (৩০)কে গ্রেফতার করেন। আজাদ চাঁদপুর সদর উপজেলার সেনগাঁওয়ের বাসিন্দা। সর্বশেষ গত বৃহম্পতিবার দিবাগত রাতে হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ২২ মামলার আসামী বাকিলার জাকিরকে ২৮০ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেন।
এছাড়া তিনি জেলা পুলিশের দেয়া শ্রেষ্ঠ উপ-পরিদর্শকের পুরস্কার পান ৭ বার। হাজীগঞ্জ থেকে ফরিদগঞ্জের একটি শাখা ব্যাংকিংয়ের ৭ লাখ টাকা ছিনতাই হওয়া ক্লুলেস মামলার আসামীদেরকে কুমিল্লা বিশ্বরোডের একটি গ্যাস পাম্প থেকে দৌড়ে ধরেন। হাজীগঞ্জের বড়কুল থেকে একটি সিএনজি স্কুটার চুরি হওয়ার সূত্র ধরে সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে দুটি সিএনজি স্কুটার উদ্ধারসহ ৫ চোর আটক ও প্রাইভেট কার জব্দ করেন। উপজেলার বাকিলা বাজারের একটি মোবাইল ফোন বিক্রির দোকান থেকে রাতের আঁধারে চুরি যাওয়া ৫৭ পিচ মোবাইল ঢাকার যাত্রাবাড়ির একটি ফোনের দোকান থেকে উদ্ধার করাসহ চোর ও চোরাই মোবাইল ক্রয়ের দায়ে যাত্রাবাড়ির সেই ব্যবসায়ীকে আটক করেন।
এছাড়া ছোট ছোট বহু মামলার তদন্ত, গাঁজা, মাদক উদ্ধারে অগ্রণী ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করার কারণে আমজনতার কাছে ভাই হিসেবে পরিচিত পেয়ে গেছেন।