প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে সম্পত্তিগত বিরোধে হামলা নারী নির্যাতন, হত্যা চেষ্টা এবং গরু ও ছাগলের ঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ১৬নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের স্থানীয়দের কাছে রবনের বাড়ি নামে পরিচিত তপাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। হামলা পর ভুক্তভোগী মোঃ শরিফ হোসেন বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেন।
হামলার শিকার ভুক্তভোগী রুবি আক্তার (২৫) জানান, গতকাল রাতে আমার চাচতো দেবর মানিকসহ ক’জন আমাদের গরুর ঘর, ছাগলের ঘর ভাংচুর করে এবং গাছ উপড়ে ফেলে। ভাংচুরের বিষয়টির টের পেয়ে আমাদের ঘরে থাকা আমি, আমার শাশুড়ি ও আমার বড় ঝা সুমি বেগমসহ ঘর থেকে বের হলে আমার উপর বেদমভাবে হামলা করা হয়। হামলায় আমার গায়ে থাকা জামা ছিঁড়ে ফেলে এবং আমার হাতে কামড় বসিয়ে দেয়াসহ আমার মাথা ও আমার দেহের বিভিন্ন অংশে গুরুতরভাবে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় আমি ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিই।
হামলার শিকার সুমি বেগম (২৮) এই প্রতিবেদককে জানান, মানিক-সোহাগ গং গতকাল আমার শ্বশুরের গরুর ঘর, ছাগলের ঘর ভাংচুর করতে দেখে আমি, আমার শাশুড়ি ও আমার ছোট জা-সহ ঘর থেকে বের হয়ে তাদের ভাংচুরের ভিডিও করছিলাম। এমন সময় আমার হাতে থাকা মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং এক পর্যায়ে ক’জন মহিলা এসে আমাকে এলোপাথাড়ি আঘাত করে এবং আমার ছোট জা রুবি আক্তারের চুল ধরে মাটিতে ফেলে নির্যাতন চালায়।
এ বিষয়ে হামলার শিকার সুমি বেগম ও রুবী আক্তারের শ্বশুর আব্দুল কুদ্দুস জানান, জোরপূর্বকভাবে সম্পত্তি দখলের জন্য মানিকসহ তার পরিবারের সদস্যরা আমার পরিবারের উপর হামলা করে। আমার পনেরো থেকে বিশ হাজার টাকার ফল গাছ উপড়ে ফেলে। সম্পত্তি তিনি কেন দখল করে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানিক তাদের বিল্ডিং করার সময় আমাদের সম্পত্তির উপর সীমানা দিয়ে ঘর করে। পরে ঘরোয়াভাবে মুরব্বিরা সম্পত্তি এজবদলের সিদ্ধান্তে মানিকরা আমাদের সম্পত্তির উপর ঘর তোলে এবং আমরা অপর দিক দিয়ে তাদের পূর্ব মালিকানা সম্পত্তি ভোগ করে আসছিলাম।
অভিযুক্ত মানিক হোসেন (৩৮) হামলার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার বাবার সম্পত্তি দীর্ঘদিন তারা দখল করে ভোগ করে আসছিলো। পূর্বে এ বিষয়ে কথা-কাটাকাটি হলে বিষয়টির সমাধানের জন্য স্থানীয় সালিসী বৈঠক বসে এবং সালিস বৈঠলে একমাসের মধ্যে জায়গা খালি করে দেয়ার নির্দেশ দিলেও আজ এক বছরের বেশি সময় পার হলেও তারা সম্পত্তি দখল করে আছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই একরাম এই প্রতিবেদককে জানান, অভিযোগের পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার ঘটনার সত্যতা পেয়েছি।