প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০
মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার উদ্যোগে পৌর এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশা নিধনে স্প্রে কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র আলহাজ লায়ন মোঃ আরিফ উল্লাহ সরকারের নেতৃত্বে এডিস মশা নিধনে ফগার মেশিনের দ্বারা স্প্রে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল। তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে পৌর এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশের ন্যায় পৌর এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে উপজেলা চত্বর, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ পৌরসভার সকল ড্রেন, বাড়ির আশপাশে ও ময়লার স্তূপ এবং মশার বংশ বিস্তার ঘটে এমন জায়গাগুলোতে মশার ঔষধ ছিটানোর কার্যক্রম মাসব্যাপী চলমান থাকবে। তিনি পৌরবাসী প্রত্যেককে বর্তমান পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু প্রকোপ মোকাবিলায় সচেতন এবং বাসা-বাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান।
পৌর মেয়র লায়ন আরিফ উল্লাহ সরকার বলেন, মশার ঔষধ ছিটানো আমাদের দৈনন্দিন কাজের একটা অংশ। বর্ষা মৌসুমে পৌর এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি তখন ডেঙ্গু মশার উপদ্রবও বেড়ে যায়। সতর্কতা ও সচেতনতার ফলে মশা নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিটি ওয়ার্ডে মশার ঔষধ ছিটানোর কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে চলবে। পুরো বর্ষা মৌসুমে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
ডেঙ্গু নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ আসাদুজ্জামান জুয়েলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জুন মাসে ৯ জন, জুলাই মাসে ৪৯ জন, আগস্ট মাসে ৯৪ জন এবং এই মাসে এ পর্যন্ত ৯ জন ডেঙ্গু রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগটির প্রধান লক্ষণ জ্বর। জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পর আবারও আসতে পারে। এর সঙ্গে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ বা ফুসকুড়ি দেখা যায়। এসব লক্ষণ দেখা মাত্র রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে।