প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
ঢাকা-চাঁদপুর রুটে অবৈধ বাস সার্ভিস বন্ধের দাবিতে চাঁদপুরে পদ্মা এক্সপ্রেস সার্ভিসের বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে বিক্ষোভে নেমেছে চালক, শ্রমিক ও কর্মচারীরা। ১৪ আগস্ট ভোর থেকে চাঁদপুর টার্মিনালে এ আন্দোলন শুরু করে তারা। এর ফলে ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচলকারী অর্ধশত পদ্মা এক্সপ্রেস সার্ভিসের যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন।
পদ্মা এক্সপ্রেস বাস শ্রমিক আজিজ ঢালী বলেন, আমরা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে রূট পারমিট নিয়ে চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়ক দিয়ে ঢাকা-চাঁদপুর রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস সার্ভিসের বাস চালু রেখে আসছি। কিন্তু বর্তমানে এই রুটে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর আল আরাফাহ পরিবহনসহ বেশ ক’টি বাস চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়ক দিয়ে অবৈধভাবে চলাচল করায় আমাদের যাত্রী সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে করে আমরা চালক শ্রমিক কর্মচারীরা মানবেতর জীবন-যাপন করছি। আমাদের দাবি চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কে যেন লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর আল-আরাফাহ পরিবহনসহ ঢাকা-চাঁদপুর রুটে অন্য কোনো পরিবহন যেনো চলাচল না করে। এ নিয়ে আমাদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি চলছে। ঢাকা-চাঁদপুর রূটে এসব অবৈধ বাস চলাচল বন্ধ না করলে আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবো।
এদিকে হঠাৎ পদ্মা বাসের কর্মবিরতির কারণে অনেক যাত্রী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েন। বাস না পেয়ে সকল যাত্রী বিকল্প বাহন বা লঞ্চযোগে ঢাকায় যাচ্ছেন। চাঁদপুর শহরের মদিনা মার্কেটের ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান বলেন, আমি লঞ্চে করে ঢাকায় যেতে ভয় পাই। তাই সবসময় বাসে করে ঢাকায় যাই। কিন্তু পদ্মা বাস কর্মবিরতি পালন করায় আমাকে অন্য মাধ্যম অবলম্বন করতে হচ্ছে।
পদ্মা বাস মালিক মজিবুর রহমান বলেন, এ সমস্যার কারণে আমরা মালিকরা যেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি, তেমনি আমাদের চালক, শ্রমিক কর্মচারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বাস মালিক সমিতির সভাপতি শোয়েবুর রহমান বলেন, ২০১৩ সাল থেকে সব ধরনের রুট পারমিট বন্ধ থাকার পরও লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর কিছু পরিবহন চাঁদপুর জেলার উপর দিয়ে অবৈধভাবে চলাচল করায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ও মারামারির ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি প্রশাসনকে দেখার জোর দাবি জানাচ্ছি।