প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে উপজেলা প্রশাসন এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চাঁদপুরের যৌথ অভিযানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় হাসপাতাল, হোটেল, ফার্মেসি, ফলের দোকান ও আড়তসহ ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ মোতাবেক ৬৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমুন নেছা ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নূর হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করেন।
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আরাফাত হোটেল এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টের বাসি কাবাব, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি, মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ফুডগ্রেড কালার দিয়ে কেক তৈরির অপরাধে ১৫ হাজার টাকা, নিপা ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধ পাওয়ায় ৫ হাজার টাকা, ফরিদগঞ্জ বাজারে পেঁয়াজ, আদা, আলু ও রসুনের পাইকারি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স নয়ন ব্রাদার্সে মূল্যতালিকা না থাকায় ১০ হাজার টাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষুধ পাওয়ায় আল শিফা ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমুন নেছা কর্তৃক ভ্রাম্যমাণ আদালত ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডস্থ মোহছেন আউলিয়া হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি এবং মূল্য তালিকা না থাকায় ১৫ হাজার টাকা, ৩টি ফল দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় ১ হাজার করে ৩ হাজার টাকা, ফরিদগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালকে ১০ হাজার টাকা এবং নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি ও মূল্য তালিকা অসামঞ্জস্যপূর্ণ পাওয়ায় মনির হোটেলকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমুন নেছা বলেন, আমাদের বাজার তদারকি অব্যাহত থাকবে। যে সকল হাসপাতাল ও ওষুধের দোকানে ভেজাল পাওয়া যাবে সেসব বন্ধ করে দেয়া হবে।