বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪টি পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ॥

কচুয়ার ঐতিহ্যবাহী পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক, নৈশপ্রহরী, আয়া ও অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে নিয়মবর্হিভূতভাবে চাকুরির আবেদনপত্র বাতিল ও অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থী নিয়োগের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বরাবর পালাখাল গ্রামের রুবেল (অফিস সহায়ক), সেফাত (নৈশপ্রহরী) ও মোঃ রাছেল (অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী) পৃথক অভিযোগ করেন।

অফিস সহায়ক পদপ্রার্থী রুবেলের অভিযোগ, গত ৩০ এপ্রিল জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪টি পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সূত্র ধরে তিনি অফিস সহায়ক পদে লিখিতভাবে আবেদন করেন। আবেদনের কিছুদিন পর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন উক্ত পদে নিয়োগ পাইয়ে দিবে বলে তার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। দিতে রাজি না হওয়ায় উক্ত পদে আব্দুল্লাহ নামের অন্য প্রার্থীকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।

নৈশপ্রহরী প্রার্থী সেফাত হোসেনের অভিযোগ, নৈশপ্রহরী পদে আবেদন করলে উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন উক্ত পদে নিয়োগ পাইয়ে দিবে বলে তার কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি তা দিতে রাজি না হওয়ায় উক্ত পদে এমরান নামের অন্য প্রার্থীকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়ারও তিনি পাঁয়তারা করছেন।

একই অভিযোগ করেন অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী প্রার্থী মোঃ রাছেল। তিনি জানান, উক্ত পদে যোগ্য প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন তাকে উক্ত পদে নিয়োগ পাইয়ে দিবে বলে ৮ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই তার আবেদনপত্রটি বাতিল করে দেয়। উক্ত পদে অভিজিৎ পোদ্দার নামের অন্য প্রার্থীকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়ার জন্যে ইতোমধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

এই বিদ্যালয়ে আয়া পদে মাস্টাররুলে চাকুরি করা তাহমিনা বলেন, ১০ বছর উক্ত পদে চাকুরি করে আসছি। আমাকে এ পদে নিয়োগ দিবে বলে বহুদিন পার হলেও নিয়োগ দেয়নি। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগযোগ করলে তারা আমার বয়স বেশি বিধায় নিয়োগ দেয়া যাবে না বলে জানায়। পরে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ইমাম হোসেন আমার পরিবর্তে আমার মেয়েকে আয়া পদে আবেদন করানোর কথা বলে। সে মতে আমি আমার মেয়েকে দিয়ে আবেদন করাই। আবেদনের পরে সভাপতি মহোদয় আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় উক্ত পদে আসমা আক্তার নামের এক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছে বলে আমি শুনেছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদ উল্যাহ বিএসসি জানান, উক্ত পদগুলোর নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি। কোনোপ্রকার অনিয়মের বিষয়ে আমার জানা নেই।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোঃ ইমাম হোসেন বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। যেখানে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি, সেখানে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আলী আশ্রাফ খান বলেন, অভিযোগগুলোর অনুলিপি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়