প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
জন্মের পরে শেখ কামাল তাঁর বাবাকে দেখতে পাননি। জাতির পিতা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে যখন বাসায় আসলেন তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ মুজিবুর রহমানকে বাবা বলে ডাকতে দেখে শেখ কামাল শেখ হাসিনাকে বলেন, ‘হাসু দি হাসু দি আমি কি তোমার আব্বাকে আব্বা বলে ডাকতে পারি?’ কতটা কষ্টের চিত্র ছিলো সেটি। নিজের জন্মের পর না দেখতে পারায় বাবাকে চিনতেই পারেন নি শেখ কামাল। কতটা হৃদয়বিদারক ছিলো ঘটনাটি। এই ছিলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুরো পরিবারের রাজনীতি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি অঙ্গনে সমান অবদান ছিলো। তেমনি শেখ কামাল পড়াশোনা, রাজনীতি, খেলাধুলা এবং সংস্কৃতি অঙ্গনে সমানভাবে অবদান রেখেছেন। শেখ কামাল যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে আজকের এই উন্নয়নশীল বাংলাদেশ আমরা অনেক আগেই অর্জন করতে পারতাম।
আমাদের বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করাসহ স্বাধীনতাণ্ডপরবর্তী আওয়ামী লীগকে দমানোর জন্যে বিভিন্ন কুচক্রী মহল এ মাসেই নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো। শেখ হাসিনাসহ পুরো আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্যে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা করে ২৪ জনকে হত্যা করা এবং ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা করে আওয়ামী লীগকে দমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ফরিদগঞ্জে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ্যডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান।
শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দোয়া-মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমুননেছার সভাপ্রধানে ও উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর তারেক নাথ মল্লিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জিএস তসলিম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুন্নাহার, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাহমুদুল হাসান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ উল্যাহ তপাদার ও ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নূরুন্নবী নোমান।