বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

হাজীগঞ্জে সম্পত্তিগত বিরোধে বসতঘর খুলে ফেলার অভিযোগ!
হাজীগঞ্জ ব্যুরো ॥

হাজীগঞ্জে সম্পত্তিগত বিরোধে একই বাড়ির অপর পক্ষের মূল বসতঘর খুলে ফেলে নতুন ঘর নির্মাণ রুখে দিয়েছে স্থানীয়রা। এ নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার হাজীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্ততি নিচ্ছে। জীবিকার তাগিদে পরিবারটি এলাকার বাইরে থাকার সুযোগে এ কাণ্ড ঘটায় প্রতিপক্ষরা। বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে ঘটনাটি ঘটে বাকিলা ইউনিয়নের গোগরা গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে।

এই বাড়ির মৃত আলী আকবরের তিন সন্তানের মধ্যে একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত। জামাল হাওলাদার ও অপর ভাই কাঁচামাল ব্যবসায়ী হওয়ায় মা-স্ত্রী আর সন্তানদের নিয়ে ফরিদগঞ্জে বসবাস করেন। হাওলাদার বাড়িতে পৈত্রিক বসতঘর রয়েছে জামাল গংয়ের। বাড়িতে যখন আসেন তখন এই ঘরেই থাকেন তারা। এই পরিবারটির সাথে একই বাড়ির চাচাতো ভাই মৃত রুহুল আমিনের ছেলে এমরান গংয়ের সম্পত্তিগত বিরোধ রয়েছে বহুদিন ধরে। যা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সকলেই অবগত রয়েছেন।

স্থানীয়রা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল থেকে হঠাৎ করে মৃত রুহুল আমিনের ছেলে এমরান হোসেন (৩০), জহির (২৫), মেয়ে রাশিদা (২০) ও স্ত্রী আনা খাতুন একত্রিত হয়ে বাড়িতে না থাকা মৃত আলী আকবরের বসতঘর ভাঙ্গা শুরু করে। এক পর্যায়ে ঘর ভেঙ্গে ঘরের সকল কাঠ, টিন আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে সেই ভিটিতে নতুন করে ঘর তুলতে গেলে বাধা দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থেকে ছুটে আসেন জামাল হাওলাদারসহ তার মা। বিচারের জন্যে তাৎক্ষণিক ছুটে আসেন স্থানীয় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলনের কাছে।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জামাল হাওলাদারের প্রতিবেশী বাচ্চু হাওলাদার জানান, আমি পরে গিয়ে দেখি জামাল হাওলাদারের বসতঘরের পাশে তার মূল ঘরের জিনিসপত্র স্তূপ করে ফেলে রাখা হয়েছে। এ সময় অন্য সকলের নির্দেশে এমরান হোসেন নতুন ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখে।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জাকির হাওলাদার জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বেকুব হয়ে যাই। এটা কীভাবে সম্ভব! মানুষের মধ্যে সম্পত্তিগত বিরোধ থাকতেই পারে। তাই বলে দিনের বেলা প্রকাশ্যে একজনের বসতঘর আরেকজনে কী করে এভাবে ভেঙ্গে ফেলতে পারে?

এ বিষয়ে জামাল হাওলাদার জানান, আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগটি আমার চাচাতো ভাইয়েরা নিতে চাইছিলো। আমার পৈত্রিক ভিটির পৈত্রিক বসত ভেঙ্গে নিয়ে তারা নতুন ঘর তুলতে চাইছে। এলাকাবাসী তা প্রতিহত করেছে। আমি চেয়ারম্যান সাহেবকে বিষয়টি জানিয়েছি। এলাবাবাসীর কাছে এ ব্যাপারে আমি কৃতজ্ঞ। সব মিলিয়ে আমি আইনের দ্বারস্থ হবো।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত এমরান হোসেন মুঠোফোনে জানান, যে জায়গায় আমরা আজকে ঘর তুলতে গেছি সেই জায়গা আমাদের। তারাই আগে আমাদের জায়গায় ঘর তুলে রেখেছে।

ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলন জানান, জামাল হাওলাদার আমার কাছে এসেছে, আমি বিষয়টি জানি। জামালকে বলেছি, এ বিষয়ে তাদের মেম্বারকে জানিয়ে বসার তারিখ দিতে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়