বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

চাঁদপুর শহরে ভাড়া-বাড়িতে এতিমখানার নামে প্রতারণা
সোহাইদ খান জিয়া ॥

চাঁদপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডে ভাড়া বাড়িতে এতিমখানার নাম দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জিটি রোড উত্তর বিষ্ণুদী বারেক আখন্দের বাড়িতে। আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার নাম সাঁটিয়ে বিভিন্ন দান-অনুদানের টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

এলাকাবাসী জানান, আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) দারুল উলুম মাদ্রাসাটি ২০১৯ সালে মঞ্জু আখন্দ থেকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে মহিলা মাদ্রাসা নামে যাত্রা শুরু করে। এর ক’দিন পরেই দেখা যায় সেখানে ছেলেরাও পড়াশোনা করছে। পরে আবার মাদ্রাসার সাথে এতিমখানা নাম দিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়েছে।

বোরহানউদ্দিন জানান, মহিলা মাদ্রাসা নামে ছিল। পড়াতেন পুরুষ শিক্ষক। এজন্যে আমার ভাতিজিকে আমি এখান থেকে অন্যত্র নিয়ে গেছি। সাহাবুদ্দিন জানান, আকিকার জন্যে ছাগল কিনতে এক লোক টাকা দিয়েছে। হুজুর ছয় মাসের ছাগল কিনে জবাই করায় এ বিষয়ে এলাকায় সমালোচনা হয়েছে। হুজুরকে জিজ্ঞেস করলে বলেন জায়েজ আছে। অথচ অন্য ওলামায়ে কেরাম জানিয়েছেন আকিকা হোক আর কোরবানির জন্যে হোক ছাগলের বয়স এক বছর হতে হবে।

রামিম পাটওয়ারী জানান, আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) দারুল উলুম মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রী পড়ছে। এ মাদ্রাসা নাকি দাখিলের মান। অথচ মাদ্রাসা সুপার ফজলুল করিম কেবল হাফেজি পাস। তবে তিনি কোথাও খতম তারাবিহ পড়ান না। রোজার ঈদে ঈদগাহ মাঠে মাদ্রাসার নামে টাকা আদায় করতে চাইলে আল-আমিন মসজিদ কমিটি মাদ্রাসা সুপারকে নিষেধ করে দেয়। মসজিদ কমিটি বলে, ভাড়াটিয়া মাদ্রাসার নামে কিসের কালেকশন!

নজরুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসায় সকালবেলা কিছু ছাত্র-ছাত্রী মক্তব্যে পড়ে। নিয়মিত ক্লাসে অত একটা ছাত্র-ছাত্রী নেই। ফয়জুল করিমরা তিন ভাই মিলে এই মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। বলা যায় মাদ্রাসা দিয়ে তাদের সংসার চলে। ছাত্র-ছাত্রীর নাম বলে এলাকা থেকে তারা অর্থ আদায় করেন। তাদের দাবি এটা এসএসসি পর্যন্ত মাদ্রাসা। এলাকায় তো ব্যাঙের ছাতার মতো মাদ্রাসা। এগুলো কে তদারকি করবে, প্রশাসন তদারকি করলে সাধারণ মানুষ প্রতারণা থেকে রেহাই পাবেন বলে এলাকাবাসী দাবি করেন।

মাদ্রাসার সুপার ফয়জুল করিম ভাড়াটিয়া বাড়িতে এতিমখানা চালাচ্ছেন বলে স্বীকার করেছেন। ওই এলাকায় তো আরও বহু মাদ্রাসা আছে। ‘আপনি কেন ভাড়া নিয়ে এতিমখানা ও মাদ্রাসা চালু করলেন’ এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, অত্র এলাকায় দাখিল অথবা কওমীতে শরহে বেকায়া পর্যন্ত কোনো মাদ্রাসা নেই। এই কারণে তিনি মাদ্রাসা চালাচ্ছেন।

ফয়জুল করিমের দাবি, তিনি কোরআনে হাফেজ এবং আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করেছেন এবং কওমী মাদ্রাসা থেকে নাহুমীর পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। দাখিল মাদ্রাসার সুপার হতে হলেও কামিল পাস অথবা দাওরা পাস হতে হয়, এমন প্রশ্ন করলে তিনি আর কথা বলতে রাজি হননি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়