বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |  
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে অংশ নিলেন মেয়র স্বয়ং!
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

হাজীগঞ্জ পৌরসভায় টানা ২য় বারের মতো মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করছেন আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন। মাঝে মাধ্যে অসাধ্যকে সাধন করে ফেলেন তিনি। যা নিয়ে পৌরবাসী হতবাক হয়ে যান। অনেক পৌর নাগরিকরা বলেন, ‘এটা কিভাবে সম্ভব’? এমনই এক অসাধ্যকে সাধন করেছেন কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ করে। পশু জবাইয়ের পৌরসভা নির্ধারিত প্রতিটি কেন্দ্রে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে বর্জ্য অপসারণ তদারকি করে মাত্র ১০ ঘন্টায় পুরো পৌর এলাকাকে বর্জ্যমুক্ত করেছেন। প্রতিটি কেন্দ্রেই মেয়র লিপনের সরব উপস্থিতি ছিলো বেশ লক্ষণীয়।

পবিত্র ঈদুল আজহার দিন সকালে ঈদের জামাত শেষে পৌরবাসীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন পৌর মেয়র আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন। এর পরেই তিনি কোরবানি পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থানগুলো পরিদর্শনে নামেন। এ সময় তাঁর সাথে পৌরসভার ট্রাক, ভাড়া ট্রাক ও পৌরসভার নিজস্ব পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টা মানে প্রায় ১০ ঘন্টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারণ সম্পন্ন করা হয়।

জানা যায়, হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডে কোরবানি পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থান রয়েছে ৪৩টি। এসব স্থানে পৌরবাসী কোরবানির পশু জবাই করে বর্জ্য রেখে দেন। সেই নির্ধারিত স্থান থেকে পৌর কর্তৃপক্ষ ট্রাকে করে বর্জ্য তুলে নিয়ে আসে। বর্জ্য অপসারণের সাথে সাথে উক্ত স্থান পানি দিয়ে ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন জানান, পৌরবাসী সচেতন হওয়ায় আর আমাদেরকে সহযোগিতার কারণে মাত্র ১০ ঘন্টার মধ্যে কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় এ ধারা সামনের দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, মেয়র লিপন পৌর পরিষদের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে শত বছরের পুরানো বাড়ির জন্যে নতুন রাস্তা নির্মাণ করে দেয়া, দুই বাড়ির মধ্যকার কয়েক পুরুষ ধরে লেগে থাকা বিরোধের মীমাংসা, সড়কে ট্রাফিক পুলিশের সাথে কাজ করা, দিনের ময়লা দিনে অপসারণ, নিজ হাতে ড্রেনের ময়লা পরিষ্কার করা, সকল কাউন্সিলরকে একত্রে গুছিয়ে রাখা, গরীর দুঃস্থ অসহায় শ্রেণীর মানুষকে জড়িয়ে ধরা, সহযোগিতা করা, সেবা গ্রহীতাদের সকল কথা শুনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়াসহ নানান বিষয়ের জটিল কাজগুলো দ্রুত সময়ে সমাধান করার কারণে ইতিমধ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়