প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৩, ০০:০০
![মামলা আতঙ্কে ফরিদগঞ্জের এক প্রবাস-ফেরত বৃদ্ধ](/assets/news_photos/2023/05/15/image-33023.jpg)
ঘটনার সাথে জড়িত না থাকলেও শুধুমাত্র জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় জেল খেটেছেন। একইভাবে আরেকটি মামলায়ও তাকে আসামী করা হয়েছে। এভাবে একের পর এক মামলায় জড়িয়ে মামলা আতঙ্কে ভুগছেন বাবুল মিয়া নামে এক প্রবাস-ফেরত বৃদ্ধ। অন্যদিকে দিনমজুর হওয়া সত্ত্বেও আরেক ভাইকে অন্যত্র থাকতে হচ্ছে। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ম্যানেজার বাড়ির।
জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ম্যানেজার বাবুল মিয়া ও তার ভাইয়ের সাথে পৈত্রিক ও খরিদকৃত জমি নিয়ে বিরোধ চলছে একই বাড়ির জামাল গংয়ের সাথে। এই জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বাবুল মিয়া আদালতে ১৪৫ ধারায় দায়ের করলেও সেই মামলাটি নিষ্পত্তি হয়ে যায়।
বাবুল মিয়া জানান, বিগত রমজানের পূর্বে আমার প্রতিপক্ষরা লুৎফা বেগমকে দিয়ে মামলা দায়ের করলে সে মামলায় তাকে জেল খাটতে হয়। অথচ আমি বিগত তিন বছর ঐ লুৎফা বেগমকে চোখে দেখিনি। সে আমাকে হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলাগুলো করেছে।
সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঐ বাড়ির তফুরের নেছার দোচালা একটি ঘর আগুনে পুড়ে যায়। ঘরে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে তিনি স্থানীয় বাজার থেকে দ্রুত এসে আগুন নিভাতে সহায়তা করেন। অথচ ক’দিন পর দায়েরকৃত মামলায় তাকে আসামী করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঐদিন বিকেলে বাবুল মিয়া কালিবাজারে কাঁচাবাজারে যান। স্থানীয়দের কাছে খবর শুনে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির সাথে বাড়ি এসে আগুন নেভাতে সহযোগিতা করেন বাবুল মিয়া ।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আমাদের দোকানে তফুরের নেছা মাঝে মধ্যে আসেন। তার নাতি ফয়েজের সাথে পারিবারিক বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে একাধিক বার। কিন্তু আগুনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
ঘরে আগুনের ঘটনার মামলার বাদী তফুরের নেছা জানান, শনিবার আমার ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে। তবে ওই সময়ে বাবুল মিয়া সেখানে ছিলো না। পরে এসে আগুন নিভিয়েছে। আমি আদালতে বিচার প্রার্থী, আদালত বিচার করবে।