প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৩, ০০:০০
![কচুয়ায় গরু চোর চিহ্নিত হওয়ার পরও প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা](/assets/news_photos/2023/05/07/image-32688.jpg)
কচুয়ায় গরু চোর চিহ্নিত হওয়ার পরও এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করায় জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জানা যায়, চিহ্নিত চোর গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের গোহট নোয়াবাড়ির মৃত আব্দুস ছোবহানের ছেলে আলমগীর হোসেন প্রকাশ্যে তার নিজ গ্রাম ও বাড়ি এলাকায় ঘোরাফেরা করায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ বাড়ির ৮/১০ জনের একটি চোর চক্র দীর্ঘদিন এলাকায় বিভিন্ন চুরির ঘটনা ঘটিয়ে আসছে বলেও মানুষের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে। তাদের গডফাদাররা আলমগীরকে অর্থের বিনিময়ে আইনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে বিভিন্ন পাঁয়তারা করে যাচ্ছে বলেও গুঞ্জন উঠেছে। এমনকি থানায় অভিযোগকারীও চোর চক্রের ভয় আতঙ্কে তাদের সাথে আপস মীমাংসাক্রমে অভিযোগ তুলে নেয়া হবে বলেও শোনা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গোহট গ্রামের মিজি বাড়ির আব্দুস ছাত্তারের গোয়ালঘর থেকে গত ২৩ এপ্রিল রাত অনুমান ১২টা থেকে ২৪ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে যে কোনো সময়ে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাভী চুরির ঘটনায় তার নাতি মেহেদী হাসান নাঈম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চোর উল্লেখ করে কচুয়া থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। পরে গরুর মালিক ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে অবগত করলে তাদের প্রচেষ্টায় গত সোমবার (১ মে) চোর আলমগীরকে চিহ্নিত করে গরুটি উদ্ধারক্রমে মালিকের হাতে তুলে দেয়া হয়।
ঘটনাটি গত ৩ মে চাঁদপুরের শীর্ষস্থানীয় একাধিক দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ পায়।
চোর আলমগীর এলাকায় ঘোরাফেরা করার প্রসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন জানান, এ কথাটি আমিও শুনেছি। এখন গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে খবর নেবো এবং তাকে পাওয়া গেলে থানায় সোপর্দ করা হবে।
অর্থের বিনিময়ে আলমগীরকে রক্ষা কারার গুঞ্জন বিষয়ে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম খাজা জানান, এ গুঞ্জনের কথাটি আমিও শুনেছি, আমরা নাকি ৬০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে এলাকায় উঠতে দিয়েছি, যা একেবারেই গুজব এবং মিথ্যা। আমরা আলমগীরকে ধরে থানায় সোপর্দ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং যাবো।
থানায় অভিযোগের তদন্তকারী এসআই মোঃ মোশারেফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনাটি আমি অবগত আছি। কয়েকদিন বাইরে ছিলাম, কাল থানায় আসছি এবং এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।