প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৩, ০০:০০
![জালিয়াতির মাধ্যমে ফ্রান্স প্রবাসী হাবিব খান ইসমাইলের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা](/assets/news_photos/2023/05/04/image-32542.jpeg)
কচুয়া পৌর এলাকার বাসিন্দা ফয়েজ উল্লাহর বিরুদ্ধে ফ্রান্স প্রবাসী হাবিব খান ইসমাইলের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, কচুয়া উপজেলার পৌর এলাকার হোসেনপুরের ফয়েজ উল্লাহ (৫৮) পিতা মৃত আঃ মান্নান ভুয়া পাওয়ার অব অ্যাটর্নি তৈরি করে তার সম্পত্তি আত্মসাৎ করার জন্যে। এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে উক্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে পাঁয়তারা শুরু করে। হাবিব খান ইসমাইলের নামে মামলা রুজু করেন এবং বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হন। এখনো একটি মামলা চলছে। এ বিষয়ে হাবিব খান প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এদিকে প্রবাসীদের সম্পত্তি পাওয়ার অব অ্যাটর্নিমূলে মালিক হতে হলে সরকারের কিছু নিয়ম রয়েছে। এসব নিয়মের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে : প্রবাসী যে বা যিনি তার সম্পত্তির বিদেশ থেকে কোনো ব্যক্তি বা স্বজনকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিতে চান, তাহলে আগে তিনি যে দেশে অবস্থান করছেন সেই দেশের সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করে এবং দূতাবাসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাকে অবহিত করার পর তিনি এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিতে পারবেন।
অথচ ফয়েজ উল্লাহকে এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নির কোনো ধরনের কোনো কিছু দায়িত্ব না দেয়া হলেও তিনি তার জামাতা পরিচয় দিয়ে মজিবুর রহমান নামে নিজেই একটি জন্ম নিবন্ধন তৈরি করে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি তৈরি করে নেন। যা হাবিব খানের ভাইয়ের জন্ম সনদ এবং পাসপোর্ট, আইডি কোনোটির সাথে মিল নেই।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে সম্পত্তিগত বিষয়ে কোনো ব্যক্তিকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নির দায়িত্ব নিতে হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার অফিসের মাধ্যমে তাকে এই দায়িত্ব নিতে হবে। কিন্তু ফয়েজ উল্লাহ নিজেই নিজের প্রতারণার জালে আবদ্ধ হয়েছেন। তিনি নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে ১শ’ টাকার ৪টি স্ট্যাম্প বা চারশ’ টাকার স্ট্যাম্পের মাধ্যমে যে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি তৈরি করেছেন সেটি দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় নয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাবরেজিস্ট্রি অফিস। তাই এই প্রতারক ফয়েজ উল্লাহর হাত থেকে সম্পত্তি রক্ষাসহ প্রবাসী পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্স প্রবাসী হাবিব খান ইসমাইল।