বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

ভুল রিপোর্টে নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে পড়ার আশঙ্কা
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

‘১৪৪ ধারায় জমির দখল বিষয়ে আদালতে মামলা করে প্রতিপক্ষ। আদালতে জমির দখল বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয় উপজেলা ভূমি অফিসকে। সেই অনুযায়ী উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক অফিস সহকারী জয়নালকে নিয়ে পর পর তিনবার তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যান। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাদের দখলে সম্পত্তি রয়েছে বলে নিশ্চিত করে আসেন। কিন্তু তাদের চাহিদা মোতাবেক অর্থ না দেয়ায় প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের পক্ষে রিপোর্ট তৈরি করেন। প্রথমে সার্ভেয়ার রিপোর্ট তৈরি করেন এবং পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এ দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমুননেছাও ওই রিপোর্টটিকে সত্য বলে অভিহিত করে আদালতের কাছে রিপোর্ট প্রদান করেন। ফলে ভুল তথা মিথ্যা রিপোর্টের কারণে আমি ও আমার পরিবার আজ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছি। প্রতিপক্ষরা যেভাবেই হোক আমাদের সম্পত্তি গ্রাস করতে উঠে পড়ে লেগেছে। এমতাবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। হয়তবা যে কোনো সময়ে আমাদের লাশ হয়ে যেতে হবে।’ এভাবেই সংবাদ সম্মলনে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন ভুক্তভোগী ফয়েজ আহমেদ।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের রুস্তমপুর এলাকার ফয়েজ আহমেদ তার লিখিত বক্তব্যে জানান, আমার বাবা জয়নাল আবদিন রুস্তমপুর মৌজায় ৪৮.৬২শতক জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে ভোগ দখলে রয়েছি। কিন্তু আমাদের প্রতিপক্ষ ঢাকা মুগদা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বাহার গং তাদের কোনো প্রকার মালিকানা না থাকা সত্ত্বেও উক্ত জমি জবর দখলের পাঁয়তারা করে আসছে। জমি দখলে বাধা প্রদানের কারণে চলতি বছরের ১৩ মে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে রুস্তমপুর বাজারে আমি ও আমার ছোট ভাই শেখ ফরিদকে হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করে আদালতে পাঠায়। ওই ঘটনায় বর্তমানে একটি মামলা চলমান রয়েছে। অপরদিকে প্রতিপক্ষরা আমাদের থেকে সম্পত্তি পাবে দাবি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। এতে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসকে সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। অফিস সহকারী জয়নালের মাধ্যমে তদন্তকালীন চাহিদা মত উৎকোচ না পেয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক রিপোর্ট প্রদান করেন। প্রতিবেদনকে সমর্থন করে ও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা (ইউএনও) তাসলিমুন নেছা উক্ত সম্পত্তি আমাদের প্রতিপক্ষের দখলে রয়েছে বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। যদিও ওই সম্পত্তি অদ্যাবধি আমাদের দখলে ও আমাদের রোপণ করা বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছ-গাছালি রয়েছে। তাই এটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাই প্রতিবেদনটি বাতিল করে পুনরায় সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক প্রতিবেদন দাখিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরো জানান, প্রতিবেদনটি আদালতে জমা দেয়ার পর থেকে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছি। প্রতিপক্ষরা হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে। আমাদের সম্পত্তি তারা যে কোন মুহূর্তে দখলে নিবে। ফলে আমরা সম্পত্তি হারিয়ে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বো।

ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এমকে মানিক পাঠানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুস ছোবহান লিটনের পরিচালনায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলিমুন নেছার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে অবগত নই, তিনি আমার বিরুদ্ধে যেই অভিযোগ তুলেছেন তা সঠিক নয়। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি, অভিযোগের সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। শুধু তা-ই নয়, আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা না মিললে আমাদের মানহানি করায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়