প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
কচুয়ায় স্বামীহারা অসহায় হোসনেয়ারার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ পরিষদ কচুয়া উপজেলা শাখা। বিধবা হোসনেয়ারা কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের আকানিয়া গ্রামের বাগান বাড়ির বাসিন্দা। তার স্বামী নজরুল ইসলাম প্রায় তিন মাস পূর্বে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এই মৃত্যুর মধ্য দিয়ে তাদের জীবন আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠে। অভাব অনটন যেন তাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ায়।
হোসনেয়ারার দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ে শারমিন আক্তার (২৩)কে অনেক দুঃখণ্ডকষ্টে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছোট মেয়ে আছমা আক্তার (২০) বিয়ের উপযুক্ত হলেও তাকে অর্থের টানাপোড়েনে বিবাহ দিতে পারছেন না। একমাত্র ১৬ বছর বয়সী ছেলে রাব্বি ভ্যান গাড়ি চালিয়ে দৈনিক দুই আড়াইশ টাকা রোজগার করে সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করছেন। এতে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা। তাদের দোচালা একটি জরাজীর্ণ বসত ঘর। একটুখানি বৃষ্টি হলে ঘরে জপজপিয়ে পানি পড়ে। পলিথিন টানিয়ে পানি পড়া বন্ধ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। এতে এ ঘরে থাকা দায় হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় হোসনেয়ারার একটি ঘর পাওয়ার আকুতি মিনতি সহ তাদের কষ্টসাধ্য জীবনের হালচিত্র তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেয়া হলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি নজরে পড়ে প্রবাসীকল্যাণ পরিষদ কচুয়া শাখার নেতৃবৃন্দের। প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ হত-দরিদ্র হোসনেয়ার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্বান্ত নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে বসবাস উপযোগী একটি গৃহনির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
প্রবাসীকল্যাণ পরিষদের সভাপতি কাজী মোকলেছুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল সওদাগর জানান, আমরা প্রবাসীকল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে প্রাথমিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে হোসনেয়ারাদেরকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ব্যয়ে বসবাস উপযোগী একটি গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছি। এ লক্ষ্যে সোমবার জাতীয় শোক দিবসে হোসনেয়ারার পরিবারের নিকট গৃহ নির্মাণের টিন ও কাঠসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করেছি। আমরা নিজেদের খরচে সম্পূর্ণ ঘরটি করে দিচ্ছি। আশা করছি আগস্ট মাসের মধ্যেই হোসনেয়ারা বেগমের কাছে ঘরটি হস্তান্তর করতে পারবো।
দুঃখ কষ্ট দূর করতে প্রবাসীকল্যাণ পরিষদ তাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য পরিষদের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন হোসনেয়ারা বেগম।