প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২১, ০০:০০
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার বড়ালী গ্রামের ছোট্ট শিশু রানা। বয়স চার কি পাঁচ। পরনে ঈদের নতুন জামা, পায়ে পুরানো জুতা। যে হাতে মেহেদির রং আর ঘড়ি সে হাতেই ঝুলছে কোরবানির মাংস কুড়ানো ব্যাগ। এ যেনো কোনো মধ্যবিত্তের হাতে দরিদ্রের থলে। আধোণ্ডআধো ভাষায় কথা বলা ছোট্ট শিশুটি হয়তো এখনো বুঝে ওঠেনি কোরবানির মাহাত্ম্য। তার কাছে ঈদণ্ডউলণ্ডআযহা কেবলই মাংস খাওয়ার উৎসব।
ঈদের দিন বেলা ১টায় ছয়ণ্ডসাত বাড়ি থেকে মাংস কুড়িয়ে যেটুকু সংগ্রহ হলো তা নিয়ে হাসিমুখে তার বাড়ি ফেরা। ‘এতো মাংস কী করবা বাবু?’কাছে গিয়ে প্রশ্ন করতেই কচি কণ্ঠে রানার সাবলীল উত্তর, ‘খামু। মায় রান্ধবো। রান্ধলে আব্বায়, মায়, ছোড বইনে মিল্লা এক লগে খামু।’
‘তুমিতো এখনো ছোট। তুমি মাংস নিতে আসলে কেনো?’এমন প্রশ্নে ডান থেকে বাম হাতে মাংসের প্যাকেট বদল করতে করতে রানার আবেগী উত্তর, ‘আব্বায় কুরবানি দেয় না। বেকে গরু কিনে, আমগো কিনে না। হেল্লাই মায় কইছে গোশত টোকাই নিতাম। নিলে রান্ধবো, আমরা খামু।’
মাংসের প্যাকেট আবার ডান হাতে নিয়ে মাংসের ভারে বাম দিকে কিছুটা ঝুঁকে ছোট ছোট পায়ে বাড়ির পথে এগিয়ে যায় শিশুটি। হয়তো রানার মা মশলা বেটে বসে আছেন সন্তানের অপেক্ষায়। আদরের ছেলেটি কয়েক বাড়ি কুড়িয়ে মাংস নিলেই তাদের চুলায় জ্বলবে আগুন।