প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। দিনের শুরুতে সূর্যোদয়ের সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১০টা থেকে ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে দিনের পরবর্তী অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কুইজ, রচনা, কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
সহকারী অধ্যাপক ও শিক্ষক প্রতিনিধি তৌহিদা আকতারের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ মাসুদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদাতবরণকারী সকল শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি আরো বলেন, বাঙালি জাতি কখনও স্বাধীন ছিলো না। ব্রিটিশরা প্রায় দুইশত বছর শাসন শোষণের পর বহু আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ বিভাগ হলেও এদেশের মানুষ বুঝতে পারলো, তারা যে স্বাধীনতা পেয়েছে তা প্রকৃত স্বাধীনতা নয়। পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর তারা উর্দু ভাষাকে জোর করে চাপিয়ে দেয়ার ঘৃৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। দীর্ঘ ২৩ বছর তারা পূর্ব পাকিস্তানের উপর জুলুম, অত্যাচার, শোষণ নির্যাতন চালায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ জুলম অত্যাচার নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জীবনের মূল্যবান সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। ১৯৬৬ সালের মুক্তির সনদ ঘোষণা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেও বাঙালিরা ক্ষামতায় যেতে পারেনি। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধু দেশের দায়িত্ব নেন। কিন্তু এ দেশের কিছু কুলাঙ্গার ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে।
অনুষ্ঠানে আরা বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মোঃ আনোয়ার উল্লা, গভর্নিংবডির অভিভাবক সদস্য মোঃ শামসুজ্জামান মুন্সী, শিক্ষক প্রতিনিধি ও সহকারী অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাস, মোঃ সেলিম মিয়া, মোঃ এয়াছিন মিয়া, প্রভাষক মোঃ সুমন মিয়া প্রমুখ।
সহকারী অধ্যাপক আ.ন.ম মফিজুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম করতে গিয়ে যারা শহিদ হয়েছেন, সকল শহিদের জন্য দোয়া করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির মাননীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি ও তাঁর সহধর্মিণীর জন্যে দোয়া করা হয়।