প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
হাইমচরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজ শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ১৩ আগস্ট শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় তার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার শিক্ষক হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক কামরুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় হাইমচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাইমচর কলেজে চাকুরির সুবাদে কামরুল ইসলাম (৫৫) নীলকমল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিপরীত পার্শ্বে নূরু মুন্সির বাড়িতে বাসা ভাড়া থাকেন। তারই পাশের রুমে সুজন নামে ব্যক্তি ভাড়া থাকেন। জানা গেছে, সুজন শিক্ষক কামরুল ইসলামের গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার ব্যবহারের জন্যে চাইলে তিনি তাকে তা দিয়ে সহযোগিতা করেন। কিন্তু দুদিনের কথা বলে সুজন সিলিন্ডার ও চুলা অনেকদিন যাবত ব্যবহার করে। অনেকবার চুলা ও সিলিন্ডার ফেরত চাওয়ার পর সুজন তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এক পর্যায়ে শনিবার রাত ৯টায় অধ্যাপক কামরুল ইসলাম সুজনের বাসা থেকে চুলা ও সিলিন্ডার নিয়ে আসেন। সুজন রাত সাড়ে ৯টায় স্থানীয় এরশাদ মৃধার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩৫)কে সাথে নিয়ে গিয়ে কলেজ শিক্ষকের রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে এলোপাতাড়ি মারধর করে। স্থানীয় লোকজন শিক্ষকের চিৎকারে এগিয়ে আসলে তারা দুজন চলে যায়। স্থানীয় লোকজন কলেজ শিক্ষককে আহত অবস্থায় হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
আহত কলেজ শিক্ষক কামরুল ইসলাম জানান, আমার পাশের রুমে সুজন বাসা ভাড়া নেয়। সে আসার পর রান্না করার জন্যে আমার সিলিন্ডার ও চুলা দুদিনের জন্যে নেয়। পরে তা দিই, দিচ্ছি করে অনেকদিন যাবত সে তা ব্যবহার করছে। আজ আমি চুলা ও সিলিন্ডার চাইতে গেলে সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আমি তার রুম থেকে আমার সিলিন্ডার ও চুলা নিয়ে আসি। কিছুক্ষণ পর সে স্থানীয় আনোয়ার হোসেনকে সাথে নিয়ে এসে আমার ওপর হামলা করে। আমি আইনি সহযোগিতা চেয়ে হাইমচর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি হাইমচর থানা পুলিশ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।