১৯৯৬ সালে আমি আপনাদের প্রতিনিধি হওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাই। আমার মূল কাজ ছিলো শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ এলাকার উন্নয়ন করা। আমি দেখতে পাই, এলাকায় ব্রিজ নাই, রাস্তা নাই, দুই উপজেলায় মাত্র ৭ কিলোমিটার রাস্তা পাকা ছিলো। আজকে শেখ হাসিনা ও আপনাদের সহযোগিতায় ৭শ’ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করেছি। প্রতিটি অনুষ্ঠানে ৩শ’ আবেদন শুধু বিদ্যুতের জন্যে হতো, গত তিন বছরে একটি আবেদনও পড়েনি। এ এলাকার জন্যে আমি ১৮শ’ কোটি টাকার কাজ করেছি। আল্লাহ যেনো আমাকে সুস্থ রাখেন, যাতে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে পারি। খারাপ লোক সব জাগায় থাকে, ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যাবে। আপনারা তাদের পাত্তা দিবেন না। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল অপশক্তি মোকাবেলা করি। শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে এগিয়ে যেতে হবে। কোনো অশুভ শক্তিকে আমরা দাঁড়াতে দিবো না, ভেঙে চুরমার করে দিবো। বঙ্গবন্ধুকন্যা আছে বলেই উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। আমি জানি আপনারা আগামীতেও তাঁর পাশে থাকবেন।

গতকাল ১৪ আগস্ট বিকেলে শাহরাস্তি উপজেলা পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের উদ্যোগে নবনির্মিত কমপ্লেক্সের শুভ উদ্বোধন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

শাহরাস্তি উপজেলা পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোবারক হোসেন সরকারের সঞ্চালনায় জিএম আতিকুজ্জামানের সভাপ্রধানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ন রশিদ, পৌর মেয়র হাজী আঃ লতিফ, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির বোর্ড সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম খোকা, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ ইরান, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জেড.এম. আনোয়ার, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আহসান মঞ্জুরুল ইসলাম জুয়েল প্রমুখ।