প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে চাঁদপুর সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় অবস্থিত একটি পার্কের সামনে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে এমএম নূরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার সময় চাঁদপুরগামী বোগদাদ বাসের নিচে পড়ে ওই স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে জানা যায়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান পাটওয়ারী ও এমএম নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এমএম নূরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ইকরাম হোসেন গোপনে একই ক্লাসের দুই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে আসছে। ঘটনার দিন ইকরাম হোসেন মানবিক বিভাগের ছাত্রী মরিয়ম আক্তারকে নিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা সংলগ্ন পার্কে ঘুরতে আসে। এই ছাত্রী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও শিক্ষকদের না জানিয়ে ঘুরতে চলে আসে। ক্লাসে তাকে দেখতে না পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগের আরেক ছাত্রী ইশরাত জাহান বিদ্যালয় থেকে ছুটি নিয়ে সন্দেহজনকভাবে পার্কে এসে দেখে তারা দুজনে পাশাপাশি বসে কথা বলছে। ইশরাত জাহান তখন তাদের সামনে গিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাথে থাকা ব্যাগটি পার্কের গেইটের সামনে ছুড়ে ফেলে কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসা বোগদাদ বাসের নিচে ঝাঁপ দেয়ার প্রস্তুতি নেয়। এমন সময় আরিফুর রহমান সুজন নামে এক পথচারী বোগদাদ বাসটিকে থামানোর জন্যে চেষ্টা করেন এবং ঐ ছাত্র দৌড়ে এসে মেয়েটিকে টান দিয়ে সড়কের পাশে লুটিয়ে পড়েন।
পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশদের খবর দিয়ে তিন ছাত্র-ছাত্রীকে পরিষদে নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এনে মুচলেকা প্রদান সাপেক্ষে অভিভাবকদের কাছে তিনজনকেই হস্তান্তর করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদুর রহমান নান্টু পাটওয়ারী। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তিনজনই অনেক ছোট। তারা আবেগের বশে ভুল করে ফেলেছে। তাই ভবিষ্যতে এমন ভুল না করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের কাছে তাদের তুলে দিয়েছি।
ঘটনার সত্যতার বিষয়ে পার্ক কর্তৃপক্ষের নিকট জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণ করে। ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে ম্যানেজার বলেন, পার্কের ভেতরে এমন কিছুই ঘটেনি। যা হয়েছে পার্কের বাইরে হয়েছে। পার্কের ভিতরে স্কুল-কলেজ চলাকালীন শিক্ষার্থীদের প্রবেশের বিষয়টি সম্পর্কে তিনি বলেন, এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে পারবে না। অথচ ঘটনার দিন আত্মহত্যা করতে যাওয়া ছাত্রীর পরনে স্কুলের ড্রেস, স্কার্প ও ওড়না ছিল। কিন্তু ম্যানেজারের কাছ থেকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। শুধু তাই নয়, এ ঘটনা নিয়ে পরবর্তীতে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান পাটওয়ারীর সাথেও পার্ক কর্তৃপক্ষের বাকবিতণ্ডা হয়।