প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২২, ০০:০০
ইলিশের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের অন্যতম বৃহত্তম পাইকারি বাজার চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে বেড়েছে ব্যস্ততা। বর্ষা মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে এখানকার ব্যবসায়ীদের মাঝে। ২৯ জুন বুধবার একদিনে প্রায় দেড় হাজার মণ ইলিশের আমদানি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতি লিঃ-এর সভাপতি আঃ বারী জমাদার মানিক।
তিনি বলেন, দুই মাস অভয়াশ্রম শেষে আমাদের স্থানীয় নদণ্ডনদীতে যে মাছ থাকার কথা, জেলেরা সে মাছ পাচ্ছে না। আড়তে এখন যে ইলিশ আসছে সেটা মেঘনা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল হাতিয়া ও ভোলা অঞ্চল জেলেদের আহরিত ইলিশ। গত দুদিন আগে এ আড়তে তেমন ইলিশ ছিলো না। এক-দুদিনে ইলিশের আমদানি বেড়েছে। জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর এ তিন মাস ইলিশের ভর মওসুমে আমদানি বাড়লে ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখবে।
সরেজমিনে ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘাটে ইলিশের সমারোহ। বাবুল হাজী, গফুর জমাদার, হাজী আঃ মালেক খন্দকার, শবেবরাত কোম্পানি, কালু ভূঁইয়াসহ ঘাটের বড় আড়তদার সবারই আড়তে কমণ্ডবেশি ইলিশের আমদানি এবং ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। এতে হাসি ফুটেছে আড়তদারদের মুখে।
বড়স্টেশন মাছঘাটে আমদানিকৃত অধিকাংশ মাছই আসছে সাগর মোহনা অঞ্চল থেকে। সাগর, মোহনা ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়লেও চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় খুব একটা দেখা মিলছে না ইলিশের। চাঁদপুরের জেলে ও ব্যবসায়ীদের আশা, অচিরেই পদ্মা-মেঘনা নদীতেও দেখা মিলবে ইলিশের।
ব্যবসায়ীরা জানান, সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেই ইলিশের আমদানি বৃদ্ধি পাবে। ইলিশের ভরা মৌসুমে চাঁদপুরের জেলেরা ইলিশের নাগাল না পেলেও নামার (ভাটি অঞ্চলের) জেলেদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ। এতে ইলিশের আমদানিতে চাঁদপুরের পাইকারি বাজার মাছঘাট কিছুটা হলেও সরগরম হয়ে উঠেছে।
সূত্র বলছে, ৪শ’ থেকে ৬শ’ গ্রাম ওজনের মাছের আমদানি বেশি। এক কেজি বা তারও বড় সাইজের মাছের আমদানি কিছুটা কম। বর্তমানে ৪শ’ থেকে ৬শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ মণপ্রতি ২২ থেকে ২৪ হাজার, ৭শ’ থেকে ৯শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ মণপ্রতি ২৮-৩০ হাজার, এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মণপ্রতি ৪০-৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা থেকে আহরিত ইলিশ মণপ্রতি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেশি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।