সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২২, ০০:০০

রঘুনাথপুরে আসামী ধরতে গিয়ে মডেল থানার এএসআই লাঞ্ছিত
গোলাম মোস্তফা ॥

চাঁদপুর শহরতলীর রঘুনাথপুরে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে এক কাঠ ব্যবসায়ীকে আটক করে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকির ঘটনায় স্থানীয় জনগণ চাঁদপুর সদর মডেল থানার এএসআই রাজ্জাককে আটক করে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে ওসি তদন্ত সুজন বড়ুয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

জানা যায়, শনিবার রাত ৮টায় চাঁদপুর শহরের ৫নং ওয়ার্ডের ওয়াপদা রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত দোকানে মোটরসাইকেল রাখতে যায় রঘুনাথপুরের কাঠ ব্যবসায়ী মোঃ ফারুক খান। তার পেছনে ছুটে যান চাঁদপুর সদর মডেল থানার এএসআই আবদুর রাজ্জাক ও তার সোর্স মানিকসহ অন্য একজন। পরে পুলিশসহ ৩ জন ফারুককে ডেকে আনেন এবং তাকে সিভিলে থাকা এএসআই রাজ্জাক সিএনজিতে কথা আছে বলে তুলে নিয়ে তিন তাল গাছতলা নামক জায়গার দিকে নিয়ে যান। বিষয়টি ফারুকের পাশের দোকানে থাকা বিল্লালের নজরে আসে। ফারুককে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয় বিল্লাল পুলিশকে জিজ্ঞেস করলে তাকে এএসআই রাজ্জাক থাপ্পড় দেন। পরে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে এএসআই ও দুই সোর্সের উপর চড়াও হয় এবং সোর্স মানিক অন্ধকারে স্থানীয়দের কিল-ঘুষি খেয়ে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় আবদুর রাজ্জাকও হট্টগোলের মধ্যে পড়ে গেলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সেলিম খানসহ কজন ছুটে এসে এএসআইকে রক্ষা করেন। পরে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদকে বিষয়টি অবহিত করা হলে ওসি (তদন্ত) সুজন কুমার বড়ুয়া ঘটনাস্থল ছুটে যান। বিষয়টি থানায় নিয়ে সমাধান করা হবে বলে ফারুক ও বিল্লালকে পুলিশের গাড়িতে তোলা হলে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে তাদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে আসেন। এ সময় উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভীড় জমায়।

রোববার সকালে বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে স্থানীয়রা ফারুক খানকে নিয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় আসেন। পরে প্রত্যক্ষদর্শীরাসহ চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ আবদুর রশিদের কক্ষে বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ বৈঠকে বসা হয়। বৈঠক চলাকালীন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দীন উপস্থিত হন এবং উভয়ই স্থানীয়দের কথা শোনেন।

ফারুক খান জানান, আমি কাজ থেকে ফিরে পরিত্যক্ত একটি মুদি দোকানে মোটরসাইকেল রাখি। প্রতিদিনের মতো আজও মোটরসাইকেলটি সেখানে রাখতে যাই। এ সময় পুলিশ এসে আমাকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে সিএনজিতে উঠতে বলে। আমি সাথে সাথে সিএনজিতে উঠে পড়ি।

এএসআই আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমি ফোর্সসহ পরিত্যক্ত একটি দোকানে অভিযান পরিচালনা করি। সেখানে মাদকের কিছু আলামত পাওয়া যায়, তা আমি মোবাইল ফোনে ধারণ করে নিয়ে আসি। স্থানীয় গাঁজা ব্যবসায়ী শাহাদাতের কিছু লোকজন ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য চেষ্টা করে। তবে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সেলিম ভাইসহ ক’জন না থাকলে আমাদেরকে ঘটনাস্থলে প্রাণে মেরে ফেলতো।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রশীদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এএসআই রাজ্জাককে পূর্বেই বদলি করা হয়েছে। আজ তাকে সিসি দেয়া হয়েছে বদলিকৃত স্থানে যোগদানের জন্য।

উল্লেখ্য, এএসআই আঃ রাজ্জাক চাঁদপুর সদর মডেল থানায় কর্মরত অবস্থায় বহু সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন মামলার হুমকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়