সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২২, ০০:০০

বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত মালামাল নিলো কে?
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত লোহা, লোহার এঙ্গেলের মালামাল নিলো কে? এ প্রশ্ন স্থানীয়দের। বিদ্যালয়ের পিটিআই কমিটির সভাপতি সরাসরি অভিযোগ আনেন দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে আর দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী সরাসরি পিটিআই কমিটির সভাপতিকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, তিনি এমন কাজ করার প্রশ্নই আসে না। ঘটনাটি হাজীগঞ্জের হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের লাউকোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক হৈ চৈ পড়ে গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলিত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের কোনো একদিন বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবন অভ্যন্তরে থাকা লোহা ও এঙ্গেল বিক্রির অভিযোগ উঠে নৈশ প্রহরী আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে। অভিযোগটি করেন একই বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের পিটিআই কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৯ জুন (বৃহস্পতিবার) সকালে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে পরিচালনা পর্ষদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও শিক্ষকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিতি ছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্যালয়ে থাকা পরিত্যক্ত লোহা ও এঙ্গেল চুরি বা গোপনে দপ্তরি কর্তৃক বিক্রি হয়েছে কিনা তা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রধান শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই দায়িত্ব পাওয়ার দুই সপ্তাহ পার হলেও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি বলে জানান অভিযোগকারী মিজানুর রহমান মজুমদার নিজে।

গত সপ্তাহে সরজমিনে বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে নতুন দুটি ভবনের পাশে পুরাতন দোচালা একটি টিনশেড ভবন রয়েছে। এই ভবনের অন্য রুমগুলো খোলা থাকলেও যে রুমে মালামাল রাখা আছে সেই রুমটি তালা মারা আছে। এই রুম থেকেই লোহা ও লোহার এঙ্গেল চুরি যাওয়ার অভিযোগ আনেন একই বিদ্যালয়ের সভাপতি নিজে। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মালামাল চুরি হয়নি বলে পশ্চিম পাশের ভবনের ছাদে ও সিঁড়ির নিচে রক্ষিত মালামাল দেখিয়ে দেন সংবাদকর্মীদেরকে।

এ বিষয়ে দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরি মোঃ আকতার হোসেন লোহা ও এঙ্গেল গোপনে বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তার বিরুদ্ধে শত্রুতাবশত কিছু মানুষ মিথ্যা অপবাদ রটাচ্ছেন। বৈঠকে উচ্চ্যবাচ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি সহজ-সরল লোক হওয়া সত্ত্বেও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। যার ফলে আমি ওখানে (বৈঠক) কিছু কথা বলেছি।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন জানান, পরিত্যক্ত লোহা ও এঙ্গেল চুরিও হয়নি এবং বিক্রিও হয়নি। সবকিছু ঠিকঠাক আছে। এ সময় তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনের একটি কক্ষে ও নতুন ভবনের ছাদে পরিত্যক্ত হাই ও লো বেঞ্চের এঙ্গেল এবং সিঁড়ির নিচে কিছু লোহার রড রয়েছে।

পিটিআই কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান মজুমদার মুঠোফোনে জানান, লোহা ও এঙ্গেল গোপনে বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত। কার কাছে বা কার মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে, তার মধ্যে একজনের নাম জানতে পেরেছি, অপর একজনের নাম জানার চেষ্টা করছি। সহসাই বিষয়টি প্রমাণ হবে।

পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আশিষ কুমার দেবনাথ বৈঠকের কথা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ে থাকা পরিত্যক্ত এঙ্গেল ও লোহার রড চুরিও হয়নি, বিক্রিও হয়নি।

দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্লাস্টার কর্মকর্তা ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান জানান, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, সরকারি মালামাল গোপনে বিক্রি বা আত্মসাতের সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়