গরুর বাজার হিসেবে খ্যাতিসম্পন্ন বাকিলা গরুর বাজার কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রির জন্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বাঁশ দিয়ে আঁড় (গরু বাঁধার স্থান) তৈরি করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাঁদা না জমার জন্যে বালি ও ইটের গুঁড়ো ফেলে উঁচা করা হয়েছে। গরুর পাশাপাশি ছাগল-খাসির জন্যে আলাদা স্থান প্রস্তুত করা হয়েছে। ক্রেতাণ্ডবিক্রেতার চলাচল নিশ্চিত ও নিরাপত্তার জন্যে রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এবার বেপারীর গরু ছাড়াও গৃহস্থের পালা গরুর প্রচুর আমদানি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে অন্যবারের চেয়ে এবার হাসিল কম ধার্য করা হয়েছে বলে চাঁদপুর কণ্ঠকে জানিয়েছেন বাজার ইজারাদার। বুধবার সরজমিনে দেখা যায়, বাকিলা পূর্ব বাজারে ঐতিহ্যবাহী গরুর বাজারকে কোরবানি ঈদ উপলক্ষে সাজানো শুরু হয়েছে। বাজারকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে লোকবল কাজ করছে। গৃহস্থ বা বেপারী গরু ক্রয়-বিক্রয় করতে যেনো স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সেজন্যে নেয়া হয়েছে ব্যবস্থা। স্থায়ী হাসিল ঘরগুলোকে মেরামত করা হয়েছে। প্রস্তত রাখা হয়েছে অস্থায়ী হাসিল ঘর। ছাগলের জন্যে আলাদা স্থান নির্ধারণ করে বাজারকে সাজানো হয়েছে। চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের কোলঘেঁষে বাজারের অবস্থান হওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আলাদা ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাজার ইজারাদার অমল ধর জানান, বাজারে আসা ক্রেতাণ্ডবিক্রেতার টাকাণ্ডপয়সার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের কর্মী রাখা আছে। অন্যবারের চেয়ে এবার হাসিল কম ধরা হয়েছে এবং বিশেষ ক্ষেত্রে হাসিল ছাড় রাখার নিয়ম করা হয়েছে।