মতলব উত্তর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শরীফ উল্লাহ হাইস্কুল এন্ড কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনোনীত হলেন শিক্ষানুরাগী ও ব্যবসায়ী আনিসুল হক।

ইতিপূর্বেও তিনি দুই বছর এই শরীফ উল্লাহ হাইস্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্থানীয় বেশ ক’জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, আনিসুল হক সভাপতি থাকাকালে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেদখল হয়ে যাওয়া অনেক সম্পত্তি ও দোকান-পাট পুনরুদ্ধার, কোচিং বাণিজ্য বন্ধসহ শিক্ষার মানোন্নয়নে অনেক কাজ করেছেন। যা যেকোনো সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য ও চোখে পড়ার মতো।

স্থানীয়রা আরো জানান, আনিসুল হক ঢাকায় বসবাস করলেও যখন থেকেই এলাকামুখী হয়েছেন তখন থেকেই তিনি এলাকার মাদক বিক্রেতা ও মাদকসেবীদের জন্য হয়ে উঠেছেন আতঙ্ক। মাদকের সাথে কোনো আপস নেই, সে যেই হোক না কেন এমন নীতি বাস্তবায়নে তিনি নিয়েছেন বেশ কয়েকটি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ। এর মধ্যে ৬ হাজার ৮শ’ পিচ ইয়াবার চালানসহ মাদক বিক্রেতাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করার বিষয়টি ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়া তিনি এলাকায় ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধেও ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছেন। তবে তিনি একজন প্রচারবিমুখ মানুষ।

বৃহত্তর কুমিল্লার প্রথম মেজর জেনারেল, সাবেক সফল মন্ত্রী এম. শামসুল হকের কনিষ্ঠ পুত্র এই আনিসুল হক। আনিসুল হক ১৯৬৬ সালের ২৯ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৩ সালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত আদমজী স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি, সেই একই কলেজ থেকে ১৯৮৫ সালে এইচএসসি এবং ১৯৮৮ সালে বি.কম পাস করেন।

বর্তমানে তিনি সিএনজি স্টেশন, পেট্রোল পাম্প ও তৈলবাহী জাহাজ ব্যবসার সাথে যুক্ত। এছাড়া তিনি সরকারি নদী খননের কাজে নিয়োজিত ড্রেজিং কোম্পানির ব্যবসায়ে তিনি আছেন। এ ব্যবসায়ী সংগঠনের সিইও ও পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ কার্গো জাহাজ মালিক সমিতির অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে দুই বছর এবং অর্গানাইজিং সেক্রেটারি হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বাংলাদেশ সিএনজি স্টেশন অ্যাসোসিয়েশনে নারায়ণগঞ্জের সভাপতি হিসেবেও দুই বছর দায়িত্ব করেন।

আনিসুল হকের বড় মেয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ পাস করে একটি ব্যাংকে কর্মরত আছেন। ছেলে এ লেভেল পাস করেছে।