প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২২, ০০:০০

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যৌথ বর্ধিত সভা সম্পন্ন হয়েছে। ৭ জুন মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় সভাপতিত্বে করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউনুস শেখ। সভা পরিচালনা করেন সহ-সভাপতি সায়েদ আলী মাস্টার।
সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকায় ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম খানকে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবনের জন্যে বহিষ্কারের বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সাথে আলোচনার পাশাপাশি সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘গঠনতন্ত্র’কে পাশ কাটিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সেলিম খানকে দল থেকে বহিষ্কার করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। গঠনতন্ত্র বিরোধী এ বহিষ্কার অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় আমরা বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।
বক্তারা আরো বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্রে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা আছে, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউকে বহিষ্কার করতে হলে, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে লিখিতভাবে জেলা আওয়ামী লীগকে সুপারিশ করবে। জেলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে অবহিত করবে এবং পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। অথচ জেলা আওয়ামী লীগ এসব নিয়মণ্ডনীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের খামখেয়ালি মতো বহিষ্কারাদেশ ঘোষণা করে দলের গঠনতন্ত্র লংঘন করেছে।
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সেলিম খানকে কী কারণে বহিষ্কার করা হয়েছে, তা এখনো আমাদের জানা নেই। এ বিষয়ে সেলিম খানকে কোনো চিঠি দেয়া হয়নি। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ সবার রয়েছে। কাউকে দল থেকে বহিষ্কারের পূর্বে গঠনতন্ত্রে এ বিষয়ে প্রথমেই শোকজ করার বিধান রয়েছে। অথচ জেলা আওয়ামী লীগ শোকজ না করে সরাসরি বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়, যা সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র বিরোধী।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ করছি, আপনারা এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার সুযোগ অব্যাহত রাখুন। অন্যথায় দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে এর দায়ভার আপনারা কোনোভাবে এড়াতে পারবেন না।
যৌথ সভায় বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আরশাদ মিয়াজী, সহ-সভাপতি হারুনুর রশিদ মিয়া, নুরুল ইসলাম কবিরাজ ও নান্নু তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাদের মিয়া ও বোরহান খান টেলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালেব ঢালী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজান খান, শফিক মিয়াজী, কোষাধ্যক্ষ আবুল বাশার জমাদার, প্রচার সম্পাদক রহমান শেখ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ খান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মুন্নি ও সদস্য আলী আহমদ খান।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য দুলাল বেপারী, মনির শেখ, শফিকুর রহমান, হারেস মজুমদার, রসু রাঢ়ী, হাবিবুর রহমান টিটু, ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও ইউপি সদস্য জহির হাওলাদার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক মাঝি, শাহ আলম মাঝি, শিপন হাওলাদার, ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য হোসনে আরা বেগম বিউটি, সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য সিমা আক্তার, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরিফ শেখ ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।