প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:৫৬
কনডেম সেল ভেঙে আবরার হত্যার আসামির পলায়ন
কারা কর্তৃপক্ষের দেরিতে মুখ খোলা নিয়ে রহস্য

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমির কারাগার থেকে পলায়নের ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ অবশেষে মুখ খুলেছে। সোমবার গভীর রাতে কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল-ফরহাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য প্রদান করা হয়।
|আরো খবর
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুনতাসির আল জেমি ৮৭ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিসহ মোট ২০২ জন বন্দির সঙ্গে কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ১৫ আগস্ট কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।
কারা অধিদপ্তর আরও জানায়, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে ৩৫ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিসহ ৫১ জনকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে মুনতাসির আল জেমি এখনও পলাতক রয়েছেন, এবং তাকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, মুনতাসির আল জেমির পলায়নের ঘটনায় বুয়েট ক্যাম্পাসে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সোমবার গভীর রাতে শিক্ষার্থীরা বুয়েটের শহীদ মিনার থেকে মিছিল বের করে পলাশী মোড়, ভিসি চত্বর হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ করেন। সেখানে তারা হত্যাকারী জেমির দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ২৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে। এদের মধ্যে মুনতাসির আল জেমি অন্যতম। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
কারা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সরকার পরিবর্তনের পর বন্দিদের জামিনে মুক্তি ও কারাগার থেকে পলায়নের ফলে বর্তমানে প্রায় ৭০০ জন বন্দি পলাতক রয়েছেন। এদের মধ্যে জঙ্গি, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ও শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ প্রায় ৭০ জন অতিঝুঁকিপূর্ণ বন্দি রয়েছে।
মুনতাসির আল জেমির পলায়ন ও অন্যান্য পলাতক বন্দিদের দ্রুত গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও অগ্রগতি জানতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
ডিসিকে/এমজেডএইচ