শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান করায় ইমামকে চাকরি ছাড়ার নির্দেশ!
  •   এনআইডিতে ভোটার এলাকা হিসেবে থাকছে না বর্তমান ঠিকানা
  •   জাহাজে ৭ খুনের রহস্য উদ্‌ঘাটনসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি
  •   নিখোঁজের একদিন পর বৃদ্ধের মরদেহ মিললো পুকুরে
  •   সৌদি আরবে বাংলাদেশের ১৬তম  রাষ্ট্রদূত মো. দেলোয়ার হোসেন

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২১, ০০:০০

কচুয়াতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ॥

কচুয়া উপজেলায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। আগামী বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল আযহা (কোরবানির ঈদ)। পবিত্র ঈদণ্ডউলণ্ডআজহা উপলক্ষে কচুয়ায় এ বছর ৪২টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে শতভাগ এমন শর্তে অস্থায়ী হাটগুলো সর্বোচ্চ দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হয়।

শুক্র ও শনিবার উপজেলার কচুয়া, ডুমুরিয়া, রহিমানগর, গুলবাহার, নিশ্চিন্তপুর, সাচার, শ্রীরামপুর, মিয়ার বাজার, জগতপুর ও হোসেনপুর বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায় অস্থায়ী পশুর এ হাটে গরু কিনতে আসা ক্রেতাণ্ডবিক্রেতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। দুণ্ডএকজনের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার আগ্রহ নেই বেশিরভাগ ক্রেতাণ্ডবিক্রিতার মাঝে। হাটের ইজারাদাররা মাইকে বার বার ঘোষণা দিচ্ছেন, কেউ বাজারে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করবেন না। কারো কাছে মাস্ক না থাকলে আমাদের কাছ থেকে মাস্ক নিয়ে বাজারে প্রবেশ করুন। বিনামূল্যে মাস্ক দিলেও অনেকেই তা ব্যবহার করছে না। কেউ কেউ মাস্ক পকেটে, কেউবা মাস্ক হাতে নিয়ে বাজারে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। শুধু বাজার ইজারাদারই নয়, পুলিশ প্রশাসনও বাজারে আসা ক্রেতাণ্ডবিক্রেতাকে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করতে দেখা গেছে।

দুপুর আড়াইটার দিকে কালিয়াপাড়াণ্ডকচুয়া সড়কের সুবিদপুর বিশ^রোড মোড়ে বসেছে কচুয়া পৌর এলাকার কোরবানির অস্থায়ী হাট। এ হাটে বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক শ’ গরু উঠেছে। দাম নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সন্তুষ্টি দেখা যায়।

ঈদ যখন ঘনিয়ে আসে কিশোরদের পাশাপাশি ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের যেন উৎসবের কমতি থাকে না। এই উৎসবকে ভাগ করে নিতে কেউ চাচা, বাবা, দাদা, নানা আবার কেউ বড় ভাইয়ের সাথে, আবার কেউ দল বেঁধে কোরবানির গরু দেখতে পশুর হাটগুলোতে এসেছে। ঈদের আমেজ তাদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে। শনিবার কচুয়া পৌর বাজারে গরু কিনতে আসা আবুল খায়ের মজুমদারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বাজারে গরুর দাম সন্তোষজনক। নাতিকে নিয়ে গরু কিনতে এসছি। তার পছন্দমতে আমি ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছি।

গরু বিক্রেতা আমির হোসেন, মজু মিয়া, হাতেম আলী, মোস্তফা, মিজান, আবু মিয়া, হাবীব উল্লা ও জমির হোসেন জানান, তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেশীয় ও বিদেশী জাতের শতাধিক গরু সকাল ৯টার দিকে পৌর বাজারে নিয়ে এসেছেন। দুপুর আড়াইটার মধ্যে ৩৫টি গরু বিক্রি হয়েছে। আশা করছি বাকি গরুগুলো শেষ বাজারে ও অবশিষ্টগুলো দুয়েক দিনের মধ্যে অন্যান্য বাজারে বিক্রি হয়ে যাবে। ভালো দাম পাওয়ায় সামনের দিনগুলোতে আরো কয়েকবার চালান (গরু কিনতে) যাবে উত্তর বঙ্গে।

বাজার ইজারাদার মনির হোসেন জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার পরিচালনার চেষ্টা করছি। বাজারে গরুর আমদানি ভালো। যতই ঈদের দিন ঘনিয়ে আসছে ক্রেতাণ্ডবিক্রেতার সংখ্যা ততই বাড়ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়