প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
হাজীগঞ্জে টাকা হাওলাত দিয়ে ফরিদউদ্দিন নামের এক প্রবাসী বিপাকে পড়েছেন। সেই টাকা চাইতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়েছেন সেই প্রবাসী। হুমকি পেয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের আব্দুল গণি ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী মোঃ মহসিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে অভিযোগটি আনেন এই প্রবাসী। ফরিদউদ্দিন ফরিদগঞ্জ উপজেলার মানুরী গ্রামের মোঃ জামাল উদ্দিনের ছেলে।
ফরিদ উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, আত্মীয়তার সূত্রতায় ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আব্দুল গণি ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী মোঃ মহসিন পাটোয়ারীকে তিনি ১৪ লাখ টাকা হাওলাত দেন। ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি এই টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও তিনি তা পরিশোধ না করে ১৪ লাখ টাকার পুবালী ব্যাংকের একটি চেক (নং--অঝ১০০-অ-২৮৩৯৪২৭) দেন। পরবর্তীতে ব্যাংকে টাকা না থাকায় তিনি (ফরিদ উদ্দিন) এ টাকা উত্তোলন করতে পারেননি। এরপর বেশ কয়েকবার তাগাদা দেয়ার পর ২০২১ সালে নগদ ১০ লাখ টাকা পরিশোধ এবং বাকি ৪ লাখ টাকার পুবালী ব্যাংকের একটি চেক দেন মহসিন পাটওয়ারী। চেকে (নং- অঝ১০০-অ-২৮৩৯৪৯২) গত বছরের ১৪ মে তারিখ উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এবারো একাউন্টে টাকা না থাকায় ফরিদ উদ্দিন ৪ লাখ টাকা উত্তোলন করতে পারেন নি। বিষয়টি মহসিন পাটোয়ারীকে অবহিত করলে তিনি বার বার সময় নেন। এভাবে কয়েকমাস পার হলেও তিনি টাকা পরিশোধ করেন নি। এরপর ফরিদউদ্দিন পাওনা টাকা আদায়ে বার বার তাগাদা দিলে মহসিন পাটোয়ারী গত ২১ ফেব্রুয়ারী অন্য ব্যক্তিকে দিয়ে প্রবাসে থাকা ফরিদ উদ্দিনকে ০১৮১৩-৯৩১৯৭৭ নম্বর থেকে হুমকি-ধমকি দেন।
মহসিন পাটোয়ারী বলেন, তুই কিসের টাকা পাবি, তোর বাসায় একবার গিয়েছি, প্রয়োজনে আরো একবার তোর বাসায় যাবো, বেশি বাড়াবাড়ি করবি না।
এ বিষয়ে আব্দুল গণি ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী মোঃ মহসিন পাটোয়ারীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ফরিদ উদ্দিন আমার কাছে ২ লাখ টাকা পাবে।
ফরিদ উদ্দিনকে হুমকির বিষয়ে কথা হলে তিনি সেই মুঠোফোন নাম্বারটি সম্পর্কে খোঁজ করে জানাবেন বলে আর জানাননি মহসিন পাটোয়ারী।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ বলেন, মুঠোফোনে হুমকির বিষয়টি আমাকে অবহিত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।