প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
৭০ বছর আগে ২১ ফেব্রুয়ারির দিনে ভাষার জন্যে প্রাণ দিয়েছিলেন বাংলার দামাল ছেলেরা। পাকিস্তানি শাসকদের জারিকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে প্রতিবাদে ফেটে পড়া মিছিলে রক্ত ঝরানো সালাম, বরকত, রফিকদের জন্যেই আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী লিখেছিলেন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি?’ ভাষার জন্যে রক্ত দেয়া শোকার্ত দিনটি সারাদেশে শোকের কালো ব্যাজ ধারণ করে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হলেও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় শহীদ দিবসে ডিজে গানের ধুমধাম শব্দে এলাকা মাতাতে দেখা গেছে একদল যুবককে। চলন্ত পিকআপ ভ্যানে ডিজে গানের তালে তালে আধুনিক ডান্স পরিবেশন করে এলাকা মাতিয়েছে তারা।
সোমবার ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সম্মুখস্থ রাস্তা দিয়ে যেতে দেখা যায় এ রকম যুবকদের। বিদেশি ভাষার বিভিন্ন গানের তালে উন্মাদ হয়ে নাচতে দেখা যায় ওই তরুণদের। বিষয়টি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন মুক্তচিন্তার মানুষজন। নতুন প্রজন্ম কী শিখছে শহিদ দিবস সম্পর্কে? আগামী প্রজন্মের কাছে কি বার্তা রেখে যাচ্ছে এ তরুণ দল-সে প্রশ্ন ছিলো অনেকের মনে।
ফরিদগঞ্জ শহিদ মিনারের সম্মুখে কর্মরত পুলিশের এক সদস্য পিকআপ ভ্যানটি থামিয়ে ভাষা দিবসে এমন গান বাজানোর কারণ জানতে চাইলে যুবকরা জানায়, তারা মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন করছে! একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে যাচ্ছে পিকনিক করতে।
‘ভাষা দিবসে ভাষার গান রেখে কেনো বিদেশি ভাষার গান বাজানো হচ্ছে’-এমন প্রশ্ন করলে তারা প্রাথমিকভাবে ক্ষমা চেয়ে এমন গান আর বাজাবে না শর্তে ছাড়া পেলেও শহিদ মিনার থেকে কয়েক গজ অতিক্রম করতেই পুলিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফের বিকট শব্দে বিদেশি গান বাজিয়ে বেপরোয়া নাচানাচি শুরু করে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই তরুণরা ফরিদগঞ্জের প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতার অনুসারী। তার পৃষ্ঠপোষকতায়ই এসব তরুণ শহিদ দিবসে করেছে ভ্রাম্যমাণ ডিজে ড্যান্স।