প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
মতলব দক্ষিণে প্রেমিক চাচা খালিদ হাসানের আত্মহত্যার বিষয়টি প্রেমিকা ভাতিজি জামিলা খাতুন মেনে নিতে না পেরে নিজেও আত্মহত্যা করে। তাদের সম্পর্ক চাচা-ভাতিজি হওয়ায় পারিবারিকভাবে কঠোর বাধায় পড়ে। মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ বারগাঁও বেপারী বাড়িতে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে আত্মহত্যার দুটি ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই গ্রামের সেনাসদস্য জহিরুল ইসলাম বেপারীর মেয়ে জামিলা খাতুন (১৬) খর্গপুর ফাযিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। একই মাদ্রাসায় একই বাড়ির আলমগীর হোসেন বেপারীর ছেলে (প্রেমিকা জামিলার সম্পর্কে চাচা) খালিদ হাসান (১৬) নবম শ্রেণিতে পড়তো। প্রায় এক সময়ে মাদ্রাসায় যাওয়া-আসা ও কথাবার্তা হওয়ার সুবাদে এক বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেম-ভালোবাসার বিষয়টি উভয় পরিবার এক মাস পূর্বে জানলে তাদের বাধা দেয়। পরে প্রেমিক খালিদ হাসান ২১ দিন পূর্বে (চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি) আত্মহত্যা করে। কিন্তু তার পরিবার বিষয়টি স্বাভাবিক মৃত্যু বলে প্রশাসনকে না জানিয়ে লাশ দাফন করে ফেলে।
প্রেমিকের মৃত্যুর কষ্ট সইতে না পেরে প্রেমিকা জামিলা খাতুন নিজ ঘরের পড়ার রুমের দরজা বন্ধ করে বৃহস্পতিবার বিকেলে আত্মহত্যা করে। তাদের মৃত্যুর খবরে এলাকায় বিষাদ ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের পিতা জহিরুল ইসলাম বেপারী বলেন, আমি ও তার মা পারিবারিক প্রয়োজনে আশ্বিনপুর বাজারে গিয়েছিলাম। বাজার শেষে বাড়ি ফিরে মেয়ের রুমের দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে দেখি, আমার মেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে।
নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মোল্লা বলেন, ওই মেয়েটির আত্মহত্যার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে।
থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, রাতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।