প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসবমুখর পরিবেশে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় পুরাণবাজার শ্রী শ্রী গৌর নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর মন্দির প্রাঙ্গণে উদ্যাপন হচ্ছে ১৬২তম বাৎসরিক উৎসব। চলছে ৪০ প্রহর ৫ দিনব্যাপী মহা হরিনাম কীর্ত্তন। শ্রী শ্রী নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর আবির্ভাব তিথি উৎসব (শ্রী শ্রী নিত্যানন্দ ত্রয়োদশী) উপলক্ষে গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শ্রীমদ্ভাগবত পাঠের মধ্যে দিয়ে উৎসবের শুভ সূচনা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে শ্রী শ্রী নিত্যানন্দ প্রভুর আবির্ভাব তিথি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা, পারায়ণ, অভিষেক, পূজা অন্তে চরণামৃত ও প্রসাদ বিতরণ। পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে শুরু হয় বিশ্ব শান্তিকল্পে ৪০ প্রহরব্যাপী অহরহ ৫ দিন হরিনাম কীর্ত্তন। অনুষ্ঠানে মহা হরিনাম কীর্ত্তন পরিবেশন করেন শ্রী রাম সংঘ (চাঁদপুর), অমৃত বাণী সম্প্রদায় (নেত্রকোনা), বজ্র বৃন্দাবন সম্প্রদায় (বরিশাল), দ্বাদশ রাখাল সম্প্রদায় (পটুয়াখালী), প্রভু নিতাই সম্প্রদায় (খুলনা), নন্দ গোপাল সম্প্রয়দায় (বাগের হাট), তুলশী নারায়ণ সম্প্রদায় (বাগেরহাট) ও নন্দকিশোর সম্প্রদায় (সাতক্ষীরা)। প্রতিদিনই সকল ভক্তের জন্যে রাখা হয়েছে প্রসাদের ব্যবস্থা। ২০ ফেব্রুয়ারি রোববার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নামযজ্ঞ সমাপনান্তে অনুষ্ঠিত হবে কুঞ্জভঙ্গ, কীর্তন সহযোগে নগর পরিভ্রমণ, দধিভা- ভন্জনম জলকেলী ও শান্তিবারি গ্রহণ, মধ্যাহ্নে মহাপ্রভুর ভোগারাধনা ও ভোগারতি অন্তে মহাপ্রসাদ বিতরণ। উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই মন্দিরে ভক্ত সাধারণের ব্যাপক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়।
মন্দিরের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বী ব্যবসায়ীদের আন্তরিক চেষ্টা ও সহযোগিতায় এ বছর ১৬২তম বাৎসরিক উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর আমরা করোনার কারণে খুবই সংক্ষিপ্তভাবে অহোরাত্র ২ দিনব্যাপী হরিনাম কীর্ত্তনের আয়োজন করি। কিন্তু মনে শান্তি পাইনি। সেদিন ভক্তদের ঈশ্বরের কাছে আকুতি ছিলো যাতে আমরা সকলেই করোনা মহামারি থেকে পরিত্রাণ পাই। মহান সৃষ্টিকর্তা হয়তো সকলের প্রার্থনা শুনেছেন। এ বছর আমরা অনেকটাই করোনা মহামারি থেকে মুক্ত রয়েছি। তাই স্বাস্থবিধি মেনে আমরা ব্যাপক আয়োজনে অহোরাত্রব্যাপী কীর্ত্তনের আয়োজন করেছি। প্রার্থনা আমাদের একটাই, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই যাতে আমরা সুস্থ থাকতে পারি। করোনা মহামারি থেকে যেন সকলেই চিরতরে মুক্তি পেতে পারি। এ কীর্তন উপলক্ষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় প্রার্থনা করা হয় বলেও তিনি জানান এবং সকলের উপস্থিতি কামনা করেন।