প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
অবশেষে জনদুর্ভোগ লাঘবে চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা ফেরিঘাট চান্দ্রা চৌরাস্তা ও ফরিদগঞ্জ ভাটিয়ালপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার ভাঙ্গা রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। অনেকদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় পত্রিকায় ও অনলাইন পোর্টালে লেখালেখি হয়। তারপরেই এখানে রাস্তার সংস্কারের জন্যে উদ্যোগ গ্রহণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। বেশ কদিন ধরেই এর নির্মাণ কাজ চলছে।
১৪ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১১ কিলোমিটার ২৯০ মিটার এই রাস্তার নতুন করে কার্পেটিং কাজ এখন চলছে। রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় এ রূটে চলাচলকারী যানবাহন চালক, স্থানীয় ও চাঁদপুর হাইমচরের জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। ভুক্তভোগীদের দাবি, রাস্তার কাজটি যেন টেকসই ও মানসম্মতভাবে করা হয়।
চাঁদপুর সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সামছুজ্জোহা বলেন, ভাটিয়ালপুর হতে চান্দ্রা চৌরাস্তা হয়ে হরিণা ফেরিঘাট পর্যন্ত এগারো কিলোমিটার এই রাস্তার সংস্কার কাজ এখন চলমান রয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় স্থানে গাইড ওয়াল নির্মাণ করছি। আশা করি, আগামী দুই মাস বা তার কাছাকাছি সময় কাজটি শেষ করতে পারবো। রাস্তাটি দীর্ঘদিন ভাঙা ছিল, উন্নয়ন কাজ করার ফলে দুর্ভোগ লাঘব হবে।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর, চান্দ্রা ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা সংযোগ এই রাস্তাটি চলাচলের জন্যে প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছিলো। এ রাস্তায় দুর্ভোগ পোহাতেন প্রতিদিন হাজারো মানুষ। প্রায়ই ঘটতো ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশিদিন হয়নি রাস্তা সংস্কার করা হয়েছিল। রাস্তার চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বেড়িবাঁধের অংশ খুবই বিপজ্জনক ছিলো। বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয়েছিল বড় বড় গর্ত। প্রায়ই এসব গর্তে ছোট-বড় যানবাহন উল্টে গিয়ে ঘটেছে দুর্ঘটনা। রাস্তার দুই পাশে পর্যাপ্ত মাটি থাকার কথা থাকলেও তা নেই।
স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত আশপাশের চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও ফরিদগঞ্জ এই তিন উপজেলার মানুষ চলাচল করেন। তারাও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।