প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
বাবুরহাট-মতলব-পেন্নাই সড়কের বরদিয়া বাজার এলাকায় মাইক্রোবাসের সাথে সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে নিহত হানিফ বেপারীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মধ্য শ্রীরামদী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। এছাড়া শহরের জেডিসি কুলি বাগান এলাকায় নুপুর আক্তার ও মতলবের নিহত একজনের লাশ নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়।
৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বরদিয়া বাজার জামে মসজিদ লাগোয়া স্থানে বাবুরহাট থেকে মতলবগামী সিএনজি স্কুটারের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা চাঁদপুরগামী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মর্মান্তিক এ সড়ক দুর্ঘটনায় চালকসহ সিএনজি স্কুটারের চারজন যাত্রীর মৃত্যু ঘটে।
পরে পুলিশ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ পোস্টমর্টেম না করার লিখিত আবেদন করলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে ময়না তদন্ত না করে রাত ২টার পর মৃতদেহগুলো তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানা যায়।
চাঁদপুর সদর হাসপাতাল সূত্রে নিহতদের পরিচয় প্রসঙ্গে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার পশ্চিম শ্রীরামদীর হারুন বেপারীর ছেলে হানিফ বেপারী (২৮), শহরের ৭নং ওয়ার্ডের জেটিসি কুলিবাগানের আজিম দেওয়ানের মেয়ে তানিয়া আক্তার নূপুর (১৮) এবং অজ্ঞাত ৭০ বয়স্ক বৃদ্ধা নারী। এছাড়া সিএনজি চালক মতলব উত্তর উপজেলার ঘনিয়ারপাড়ের বাসিন্দা জালাল উদ্দীন মোল্লা (৪৯) ও মতলব উত্তরে নুরুরকান্দি গ্রামের নূরজাহান বেগম (৭০)।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিএনজি অটোরিকশাটি বাবুরহাট থেকে ছেড়ে মতলবের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো এবং মাইক্রো বাসটি বাবুরহাট-পেন্নাই সড়ক পথে চাঁদপুরের দিকে আসছিলো। পরবর্তীতে সিএনজি (চাঁদপুর-থ-১১-২৭৯৬) ও মাইক্রোবাসটি (ঢাকা মেট্রো-চ -১৯-৮০১২) মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা প্রায় ঘন্টাখানেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে মতলব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত চাঁদপুর শহরের ওয়ান মিনিট মিষ্টি দোকানের পাশের বাসার ভাড়াটিয়া শাহজাহান তপাদারের মেয়ে জান্নাত আক্তার পপি (১৯) বলেন, আমরা চাঁদপুর থেকে বাবুরহাট নেমে সিএনজি বদল করে মতলব বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম। সিএনজিতে আমি এবং আমার বান্ধবী নূপুর পিছনে ছিলাম। আর সামনে হানিফ ও সিএনজি চালক ছিলো। বাবুরহাটের একটু সামনে বৃদ্ধা মহিলাটি সিএনজিতে উঠে। তাকে আমরা কেউ চিনি না। পরক্ষণে কীভাবে কি হলো তা আমি বলতে পারছি না।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, আহত পপি এবং নিহত নূপুর ও হানিফ বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানের নৃত্যশিল্পী। ধারণা করা হচ্ছে মতলবে কোনো এক বিয়ে বাড়িতে তারা নাচের উদ্দ্যেশ্য রওনা হয়েছিলো।
নিহত নূপুর ও হানিফ এবং আহত পপি চাঁদপুর স্বপ্নপুরী সাংস্কৃতিক সংগঠনের নৃত্যশিল্পী বলে জানা যায়।