প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২১, ০০:০০
কোন্ বাড়িতে গরু আছে কিংবা গরুর খামার আছে তা ঐ বাড়ির খড়ের গাদা দেখে চিনে নিতো চোরের দল। এই খোঁজার দায়িত্ব ছিলো বাবা-ছেলের উপর, আর এই দায়িত্ব পালন করতো মোটরসাইকেলে করে ঘুরে ঘুরে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে গরুর খামারওয়ালা বাড়ি রেকি করতো এই বাবা-ছেলে। এর পরেই সময় সুযোগ বুঝে কোনো এক রাতে চলতো গরু চুরির কাজ। গরু চুরি করার সময় যে পিকআপ ট্রাক ব্যবহার হতো তার চালক থাকতো বাবা আর হেলপার থাকতো ছেলে। এমনই গুণধর বাবা-ছেলেসহ আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। আটকের ঘটনাটি সোমবার দিবাগত রাতে। পিকআপ, ২টি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা, কিছু রশিসহ এদেরকে আটক করা হয়। এ নিয়ে থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্যদের আটকের পর সোমবার দুপুরে হাজীগঞ্জ থানা কমপ্লেক্স এলাকায় প্রেস ব্রিফিং করে পু্লশি। এতে বিস্তারিত তুলে ধরেন হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মামমুদ পিপিএম।
সোহেল মাহমুদ পিপিএম বলেন, আমরা গরু চোর চক্রের ৩টি গ্রুপকে শনাক্ত করেছি। এর মধ্যে লিটন গ্রুপ, জাহাঙ্গীর গ্রুপ ও খলিল শেখ গ্রুপ বেশ সক্রিয়। এরা ভাগ হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গরু চুরি করে আসছে । এরা প্রথমে মোটর সাইকেলে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে যেসব বাড়িতে খড়ের গাদা রয়েছে সেসব বাড়িতে ঢুকে গরুর খামার রেকি করে। এর পরে সুযোগ বুঝে দিনক্ষণ দেখে কয়েকজন মিলে পিকআপ ট্রাক নিয়ে গরুর খামারের পাশে হাজির হয়। এরপর কেউ গরুর লেজে ধরে, কেউ গলায় ধরে, কেউ গরুর গায়ে মালিশ করে গরুকে ট্রাকে তুলে রশি দিয়ে পা বেঁধে ট্রাকের ভিতরে ফেলে রেখে চম্পট দেয়।
আটককৃতরা হলো : হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন মকিমাবাদ গ্রামের মল্লিক বাড়ির মৃত রেনু মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে শাকিব (২০), কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার সুরিখোলা গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে সজিব (২৬) ও চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার গাবুয়া গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে শরিফ হোসেন (২৪)। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর ও সাকিব পিতা-পুত্র।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ, ওসি (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল।