রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

’৭১-এর হত্যাকারীরা ধর্মকে ব্যবহার করে ফের ফণা তুলছে
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

গত ১৩ অক্টোবর রাতে হাজীগঞ্জে ঘটে নারকীয় ঘটনা। এদিন রাতে হাজীগঞ্জ বাজার এলাকার মতো উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের কয়েকটি পূজাম-প ও হিন্দু বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার সূত্র ধরে শুক্রবার বিকেলে সরজমিনে ঘটনাস্থলে যান চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মধ্যে ২ জন নারী ও শ্যামল সাহা নামের ১ জন পুরুষ সেদিন রাতের ঘটনা বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ভুক্তভোগীদের কথা শুনে সংসদ সদস্য নিজেই ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন।

রামপুরসহ হাজীগঞ্জে ১৩ অক্টোরব রাতে যারা ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করে ১৯৭১ সালে তারা হিন্দু-মুসলমানকে হত্যা করেছিলো। আজ তাদের বংশধররা ফের ফণা তুলেছে। তাদের বিষদাঁত ভেঙ্গে ফেলা হবে। সেদিনের হামলাকারীদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। হাজীগঞ্জে গত দেড়শ’ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি। আমরা হয়তো আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পানিনি, সেজন্যে ক্ষমাপ্রার্থী। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তাই এ বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। আসামী চিহ্নিত করা হয়েছে। যে কোনো মূল্যে এদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। আমি ঢাকায় ফিরে প্রধানমন্ত্রীর সাথে এই বিষয়ে কথা বলবো এবং পুরো পরিস্থিতি তাঁর সামনে তুলে ধরবো। আপনাদের আশ^স্ত করতে চাই, এমন ব্যবস্থা নিবো, যাতে এরা আর দাঁড়াতে না পারে।

নিজ দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি বলেন, আজকে যারা আমাকে মিছিল করে এখানে নিয়ে এসেছেন, তারা ঐদিন রাতে থাকলে হয়তো এ ঘটনা ঘটতো না। আমাদের মা-বোনদেরকে নিরাপত্তা দিয়ে রাখতে হবে। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন, তাদেরকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। আমাদের নেতাদেরকে বলছি, যারা জনগণের কাছাকাছি থাকবেন তারাই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক পেতে পারেন।

আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি রোটাঃ রুহিদাস বণিক, কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী ও নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী রোটাঃ এস.এম. মানিক। উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসরিন জাহান শেফালী, পৌর মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার, অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম মীর।

আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটাঃ আহসান হাবিব অরুণ, জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাসুদ ইকবাল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বি, যুবলীগ নেতা নাহিদুল ইসলাম সোহেলসহ উপজেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়