রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে শিশুদের রোগের প্রকোপ বাড়ছে
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ক্রমেই বাড়ছে শিশু রোগী। ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে ভর্তি হওয়া প্রায় ৯৫ শতাংশ শিশুই জ্বর, সর্দি, কাশি, ব্রংকইটিস রোগে আক্রান্ত। হাসপাতালের ৩য় তলায় শিশু ওয়ার্ডের সকল শয্যা পরিপূর্ণ হওয়ায় ইতিমধ্যে মহিলা ওয়ার্ড ও বারান্দায় সিঁড়ির পাশে মেঝেতে শয্যা পেতে দেয়া হয়েছে।

চিকিৎসক ও নার্সরা জানিয়েছেন, ক্রমেই শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ কারণে ওই চিত্রের পরিবর্তন হচ্ছে না। চলতি মাসের শুরু থেকে রোগী বাড়ছে। অধিকাংশেরই ঠা-াজনিত সমস্যা। হাসপাতালে ডাক্তার ও সেবিকা কম থাকায় এতো রোগী সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আরিফুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক তার ১০ মাস বয়সী শিশু মিনহাজকে নিয়ে তিন দিন পূর্বে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। ছেলেটির সর্দি হয়। গায়ে হালকা জ্বরও ছিলো। ওষুধ খাইয়েও সুস্থ হচ্ছিলো না। কিন্তু কোনো শয্যা না পেয়ে বারান্দার মেঝেতে বিছানা করে থাকতে হচ্ছে।

ধানুয়া গ্রাম থেকে আগত শিশু রোগীর মা তাসলিম বেগম জানান, আমার আড়াই বছরের হৃদয়কে নিয়ে আসছি আজকে ৪ দিন হয়েছে। নিয়মিত গ্যাস দিতে হচ্ছে, এখন অনেকটা ভালো। ডাক্তার বলছে আরো দুদিন থাকতে হবে।

দক্ষিণ কড়ৈতলী গ্রাম থেকে আসা শিশু সাদিয়ার মা ফারজানা বেগম জানান, ৩ দিন হয়েছে ভর্তি হয়েছি হাসপাতালে। ডাক্তাররা ভালো চিকিৎসা দিলেও নার্সরা অনেক সময় ডাকলে ঠিকমত আসে না। তিনি আরো বলেন, ডাক্তাররা যে ঔষুধ লেখে তা হাসপাতাল থেকে দেয় না, বাহির থেকে কিনা লাগে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মাসের প্রথম ১০দিনে হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৪ হাজার ২৩০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। ওই হিসেবে গড়ে প্রতিদিন সেখানে সেবা নিয়েছে ৪২৩ জন। আর ভর্তি থেকে সেবা নিয়েছে ১০০ জন।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আশরাফ আহাম্মেদ চৌধুরী জানান, রোগীর চাপ অনেকটা বেড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এমনটা হচ্ছে। এ সময় অভিভাবকদের বেশি সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদের প্রচুর তরল ও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার দিতে হবে। বাচ্চারা ঘেমে গেলে জামাকাপড় পরিবর্তন ও ঘাম মুছে দিতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়