প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
হাজীগঞ্জের প্রকৃত ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি। এখানকার ঘটনা নিয়ে কোনো কল্পকাহিনী সৃষ্টি করা হয়নি। এজন্যে আমরা হাজীগঞ্জের পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা লোকগুলোকে বাঁচাতে পারিনি, সেজন্যে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। রোববার দুপুরে হাজীগঞ্জে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি আরো বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন মন্দিরগুলোর নিরাপত্তা ঠিক আছে। মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়ে দেশের গোয়েন্দাসংস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভুল তথ্য দিয়েছে। আমাদের দেশে একজন ভালো মন্ত্রী হচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল। কিন্তু তাঁকে গোয়েন্দা সংস্থা বোকা বানিয়েছে। আমাদের দেশের গোয়েন্দারা ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর অধস্তন কর্মচারী। কিছু মৌলভী ও ধর্মান্ধ ব্যক্তি সেদিন ইয়ং ছেলেদের বিপদে ফেলেছে।
গত বুধবার রাতে হাজীগঞ্জ বাজারের শ্রীশ্রী রাজা লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়ার দুর্গা পূজাম-পে একটি মিছিল থেকে মন্দিরে হামলায় ঘটনায় পুলিশের গুলিতে নিহত ৪ জনের মধ্যে রান্ধুনীমুড়া গ্রামের নিহত হৃদয়ের পরিবারের সাথে কথা বলে এবং তার কবর জিয়ারত ও ভাংচুরকৃত দুটি পূজাম-প পরিদর্শন করে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপরোক্ত কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এখানে মানুষ মরেছে, মন্দির ভাংচুর হয়েছে। প্রত্যেকটা ভাঙ্গা মন্দিরে কাল থেকে সরকারের ক্ষতিপূরণ দেয়া দরকার বলে মনে করছি।
হাজীগঞ্জের পুলিশ ও সাংবাদিককে ধন্যবাদ দিয়ে ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এখানকার পুলিশ ও সাংবাদিক একত্রিত হয়ে বিষয়টি ট্যাকেল করেছে। তারা বিষয়টি ভিন্নভাবে নেয়নি। তারা সুন্দর কাজ করেছে।
তাঁর সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ’৬৯-এর শহীদ আসাদের ছোট ভাই ডাঃ নুরুজ্জামান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ।