শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

গুজবে ভাসছে হাজীগঞ্জ
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

গত বুধবার রাতে হাজীগঞ্জ বাজারের শ্রীশ্রী রাজা লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর আখড়া পূজা ম-পে ভাংচুর করার সময় কিছু মিছিলকারীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সে সময় থেকে গুজবের পর গুজব ছড়াতে থাকে। একের পর এক গুজবে অনেকটাই নাকাল হাজীগঞ্জের পুলিশ, সাংবাদিক ও সাধারণ শান্তিপ্রিয় আমজনতা। গুজবগুলো মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াতে থাকে।

বুধবার রাতে পুলিশের গুলিতে ৪ জন নিহত হয়। সেই ৪ জনকে ৭ জন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হতে থাকে। ৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশসহ কোনো সূত্রই নিশ্চিত করতে পারেনি।

উপজেলার বলাখাল চন্দ্রবান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মানিক সাহা ঘটনার রাতে মারা যান। মানিক সাহা হামলায় মারা গেছেন বলে চারদিকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। অথচ মানিক সাহা স্ট্রোক করে মারা গেছেন, বিষয়টি তার ভাই লোকনাথ সাহা, মৃত মানিক সাহার বন্ধু যার কোলে মানিক সাহা শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেছেন সেই শিক্ষক জাকির হোসেন নিশ্চিত করেছেন। তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বিভিন্ন গণমাধ্যমকে মানিক সাহা স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ গত ২ দিন ধরে ১০ বছরের শিশুসহ একই পরিবারের ৪জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের পর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। শিশুটি মারা গেছে বলেও গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ হাজীগঞ্জ শাখার সভাপতি রোটাঃ রুহিদাস বণিক গত শনিবার বিকেলে তার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তায় বিষয়টিকে গুজব বলে উল্লেখ করে বলেন, শ্লীলতাহানির বিষয়টি গুজব। এ জাতীয় কোনো তথ্য আমাদের কারো জানা নেই। তাই কাউকে গুজবে বিশ^াস না করার অনুরোধ জানান তিনি।

ধর্ষণের গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর হাজীগঞ্জে জড়ো হন গণমাধ্যমের কর্মীরা। স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। কিন্তু এমন কোনো ঘটনা কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি। সবাই এটাকে গুজব বলে উল্লেখ করেন।

হাজীগঞ্জ উপজেলা হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সত্যব্রত ভদ্র সাংবাদিকদের বলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলার কোথাও কোনো পরিবারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ বলেন, একই পরিবারের ৪জন ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি বড় ধরনের গুজব। আমরা সব জায়গায় লোকজন পাঠিয়েছিলাম। এ ধরনের কোনো খবর জানা যায়নি। থানায় এ ধরনের কোনো অভিযোগও আসেনি।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান, কেউ কোনো গুজবে কান দিবেন না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়