প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের অষ্টম দিনে পদ্মা-মেঘনায় অভিযান চালিয়ে ৪৭ লাখ টাকার জাল জব্দসহ ৩০ জেলেকে আটকপূর্বক জেল দেয়া হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে নদীতে অভিযান। আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী অব্যাহত থাকবে জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষার এ অভিযান। অভিযানের ধারাবাহিকতায় গতকাল ১২ অক্টোবর সোমবার পদ্মা-মেঘনায় ১৮টি অভিযান ও ৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। অভিযান চালিয়ে ২৩৫০ মিটার জাল আটক করা হয়। যার মূল্য প্রায় ২৭ লক্ষ টাকার অধিক। এ সময় চাঁদপুর সদর উপজেলার ৩০ জন অসাধু জেলেকে আটকপূর্বক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে জেলা মৎস্য অধিদপ্তর ৬টি মামলা করেছেন বলে জেলা মৎস কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়। এদিন চাঁদপুর সদরে ৭টি, হাইমচর ৩টি, মতলব উত্তরে ২টি, মতলব দক্ষিণে ২টি, হাজীগঞ্জে ২টি, ফরিদগঞ্জে ২টি মোট ১৮টি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালীন এ সকল স্থান থেকে ০.০৩০০০ মে. টন ইলিশ আটক করা হয়।
এদিন হাইমচরে জব্দকৃত ৫টি নৌকা নিলাম করা হয়, যার মূল্য ৯০ হাজার টাকা। হরিনা নৌ পুলিশ ৫ আসামীর বিরুদ্ধে ১টি নিয়মিত মামলা করে এবং ১টি নৌকা জব্দ করা হয়। এছাড়াও চাঁদপুর সদর নৌ থানা পুলিশ কর্তৃক ৩টি নিয়মিত মামলার আসামী ১৯ জন, আলুরবাজার নৌ পুলিশ কতৃক ১টি নিয়মিত মামলার আসামী ৪ জন।
জাতীয় সম্পদ মা ইলিশ রক্ষায় মহোনপুর থেকে হাইমচর পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার পদ্মা-মেঘনায় অভিযান চলাকালীন সকল প্রকার মাছ ধরা বিধিনিষেধ থাকলেও প্রতিদিনই চলছে চোর-পুলিশ খেলা। প্রায়ই শোনা যায় ম্যানেজ করেই অসাধু জেলেরা নদীতে মাছ ধরছে নির্বিঘেœ। তবে অভিযান ও মোবাইল কোর্টের সদস্যগণ সক্রিয় থাকায়, তা অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাহত হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা অনেকটাই অকার্যকর হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোনো কোনো জেলে জানান। তারা বলেন, দেখা যায় নদীতে টহলরত এক দল উৎকোচের বিনিময়ে মাছ ধরাসহ জেলে নৌকা ছেড়ে দিলেও টহলরত অন্য আরেক গ্রুপ তা আটক করে। এ দোটানার কারণে যাদের কপাল খারাপ তারাই অভিযানে আটক হন বলে অনেক জেলে তা জানান।