শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

সাড়ে তিন বছরেও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি হস্তান্তর হচ্ছে না!
এমকে মানিক পাঠান ॥

আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরিদগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করলেও গত প্রায় সাড়ে তিন বছরেও উক্ত কমপ্লেক্স ভবনটি সরকারিভাবে হস্তান্তর করা হয়নি। যার ফলে নতুন ভবন বুঝে না পাওয়ায় ফরিদগঞ্জের ভাতাপ্রাপ্ত ৮ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার স্বার্থে বিভিন্ন কার্যক্রম চালাতে নানা বাধার মুখে পড়ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, সাড়ে তিন বছরেও ফরিদগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর না হওয়ার জন্যে মূলত দায়ী কে?

সরকারিভাবে ভবনটি বুঝে না পাওয়ায় ভবনটির নিচতলায় ১২টি দোকান ভাড়া দিতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি এই ভবনের জন্যে বরাদ্দ থাকা একটি কম্পিউটার ও টেলিভিশন দীর্ঘদিন পড়ে আছে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে। নৈশ প্রহরীসহ তিন জনের নিয়োগ প্রক্রিয়াও বন্ধ রয়েছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারের বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা সদর এলাকায় বাসস্ট্যান্ডের পাশে তৃতীয় তলা বিশিষ্ট ফরিদগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। ভবনটি নির্মাণের পর ২০১৮ সালে ১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ভবনটির উদ্বোধন করেন। কিন্তু গত প্রায় সাড়ে তিন বছরেও আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ভবনটি মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারিভাবে হস্তান্তর না করায় ভবনটি দীর্ঘদিন অযতেœ অবহেলায় পড়ে আছে। এক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্মারক সম্বলিত এক নির্দেশের বলে ফরিদগঞ্জের ইউএনও শিউলী হরি চলতি বছরের ৮ মার্চ উক্ত ভবনটি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্যে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন। এই ৫ সদস্য হলেন যথাক্রমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রকৌশলী, ২০১০ ও ২০১৪ সালে নির্বাচিত উপজেলা কমান্ডার মোঃ সহিদুল্লা তফাদার, ২০১৪ সালে নির্বাচিত ডেপুটি কমান্ডার মোঃ সরোয়ার হোসেন ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার। এই কমিটির সরকারি চিঠি মুক্তিযোদ্ধা কিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমশিনার ও জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নামের নতুন ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর না করতে পারায় এই ভবনে ১২টি দোকান কাউকে ভাড়া দেয়ার ব্যাপারে কোনো সিন্ধান্ত নিতে পারছে না কমিটি। শুধু তা-ই নয়, এই ভবনে একজন নৈশ প্রহরীসহ তিনজন লোক নিয়োগ করার বিধান থাকলেও কাউকে নিয়োগ করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বার্থে নানাবিধ কার্যক্রমে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে।

ভবনটি সরকারিভাবে আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভবনটি উদ্বোধনের পর গত সাড়ে তিন বছরেও আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর না হওয়ার বিষয়টি আমাদেরকে মর্মাহত করেছে। তিনি আরো বলেন, এক পর্যায়ে আমরা বাধ্য হয়ে এই অফিসে চলতি বছরে মার্চ মাস থেকে উক্ত কমপ্লেক্সে জাতীয় দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বার্থে দায়সারাভাবে নানা কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছি মাত্র।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা কমিটির এক সদস্য কমান্ডার মোঃ সহিদুল্লা তফাদার বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত ভবনটি সরকারিভাবে হস্তান্তর করতে না পারায় মূলত এখন মুক্তিযোদ্ধা ও এ ভবনের স্বার্থে যাবতীয় কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ভবনটি হস্তান্তর না হওয়ায় এই ভবনের জন্য নৈশ প্রহরীসহ ৩ জন লোকের নিয়োগ ও ভবনটির জন্যে বরাদ্দ হওয়া একটি কম্পিউটার ও একটি টেলিভিশন পড়ে আছে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে।

এ নিয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বক্তব্য চাইলে ফরিদগঞ্জের ইউএনও শিউলী হরি বলেন, উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে আমার অফিসে এসে কথা বলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়