প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় গণতন্ত্র চর্চার এক চমৎকার দৃশ্য দেখা গেলো। একেবারে ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে এসে বুক ফুলিয়ে তার এলাকার অসাংগঠনিক কার্যক্রম এবং চরম বিশৃঙ্খল অবস্থার কথা বিনা বাধায় বলে গেলেন। এসব বলতে গিয়ে জেলার এবং স্থানীয় অনেক নেতা ও কয়েকজন এমপির বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করলেন তৃণমূলের নেতারা। আর সেসব নেতা এবং এমপি মঞ্চেই বসা ছিলেন। যাঁদের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে তাঁরাও সব শুনেছেন পাশেই বসে। কিন্তু কোনো বক্তার বক্তব্য থামিয়ে দেয়া হয় নি। তৃণমূলের নেতারা তাদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ, দুঃখ-কষ্টের কথা কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে বলতে পেরে তারাও খুশি এবং তারা নিজেদের অনেকটা হালকা অনুভব করেছেন। তাদের মনের কষ্টের কথা অন্তত তারা বলতে পেরেছেন এবং কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের বক্তব্যও ধৈর্যের সাথে শুনেছেন। বিশেষ করে ফরিদগঞ্জ, কচুয়া, মতলব উত্তর ও হাজীগঞ্জের বেশ ক’জন নেতা তাদের নিজ নিজ এলাকার সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলার কথা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে অবলীলায় বলেছেন। আর বলতে গিয়ে অভিযোগের তীর ছিল তাদের নিজ নিজ এলাকার সংসদ সদস্য ও নেতাদের দিকে। অনেকে এমপি এবং নেতাদের নাম সরাসরি বলেছেন।
দীর্ঘ সময় নিয়ে বলার পরও উল্লেখ করার মতো কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেনি এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে নি। এমন পরিবেশকে গণতন্ত্রের চর্চা হিসেবে দেখছেন দলের নেতা-কর্মীসহ পর্যবেক্ষক মহল। তারা বলছেন, দলের মধ্যে যে গণতন্ত্রের চর্চা আছে সেটা আজ আওয়ামী লীগ দেখালো। এই তৃণমূল প্রতিনিধি সভা গণতন্ত্রের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।