শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

কাল থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ
মিজানুর রহমান ॥

আগামীকাল ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ ধরা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদফতর সম্মিলিতভাবে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। তাই আগামীকাল সোমবার থেকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নৌ-সীমানায় সকল প্রকার মাছ ধরা নিষেধ।

ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে সরকার এ বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৪ অক্টোবর হতে ২৫ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত মোট ২২ দিন নির্ধারণ করেছে। এ সময়কাল সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

ইতিমধ্যে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২১ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা টাস্কফোর্স কমিটি প্রস্তুতি সভা করেছে। সভায় ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করার পাশাপাশি নিষিদ্ধ সময়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের কার্যক্রম এবং অপারেশন্যাল স্ট্রাটেজি প্রণয়ন করা হয়। একইসাথে জেলেপল্লীসহ অন্যান্য জায়গায় এ সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধিকল্পে মাইকিং এবং প্রচার-প্রচারণার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

নিষিদ্ধ ২২ দিন মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের যেন জীবিকা সঙ্কট না হয় সেজন্যে সরকার প্রতিটি জেলে পরিবারকে ২০ কেজি হারে ভিজিএফ (চাল) প্রদান করবে। চাঁদপুর জেলার আওতাধীন ৭০ কিঃমিঃ নদীপথে যেন ইলিশ নিধন না হয় সেজন্যে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড এবং অন্যান্য আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সার্বক্ষণিক টহলে নিয়োজিত থাকবে। স্থল ও নৌপথে বিভিন্ন কৌশলগত জায়গায় চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে এবং সেসব স্থান থেকে বিরতিহীনভাবে টহল ও অভিযান পরিচালিত হবে। সেই সাথে স্থল ও নৌপথে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক সার্বক্ষণিক মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালিত হবে।

এদিকে চাঁদপুর সদর, মতল উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার একশ্রেণির মৌসুমী জেলে ও ইলিশ আড়তদার এবং ক্রেতা নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ শিকার ও ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

‘সরকারি দলের লোক’ এ প্রভাবে তারা আইন অমান্য করে নদীতে জেলে পাঠাবে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

তরপুরচন্ডীর আনন্দবাজার, সফরমালী, কানুদী, ফরাজিকান্দী, পুরাণবাজার হরিসভা, রনাগোয়াল, বাবুর্চিঘাট, এমদাদীয়া মাদরাসার পেছনে, দোকানঘর নদীর পাড়, রামদাসদী, সাখুয়া, বহরিয়া লোধের পাড়, লক্ষ্মীপুর চেয়ারম্যানঘাট, নন্দেশ খাঁর খাল, হরিণা ফেরিঘাট খাল, রাঢ়িবাড়ি খাল, নন্দিগো দোকান, আখনের হাট, গম্বুজ মসজিদ, চাঁদপুর শহরের টিলা বাড়ি, কোড়ালিয়া নদীর পাড় এবং মেঘনার পশ্চিমপাড় রাজরাজেশ্বর চর, চেয়ারম্যানের স্টেশন, ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের চর, হাইমচর ও দুই মতলবের চরসমূহ এবং নদীর খালপাড় এলাকায় নিষিদ্ধ সময় ইলিশ শিকার করা হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

এসব এলাকায় প্রশাসনের নজরদারি না থাকলে সুযোগ বুঝে জেলেরা মাছ ধরবে। এতে ইলিশের প্রজনন রক্ষা পাবে না বলে মত পর্যবেক্ষক মহলের।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়