প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২১, ০০:০০
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথে যাচ্ছে সরকার। পরে প্রয়োজনে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরো এক সপ্তাহ বাড়তে পারে।
এই সময়ে জরুরি সেবা ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারবে না এবং অতীতের মত কোনো মুভমেন্ট পাসও এবার থাকছে না। এই কঠোর নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে পুলিশ, বিজিবি, ব্যাটালিয়ন পুলিশ ছাড়াও সেনাবাহিনী টহলে থাকবে।
এদিকে সীমিত লকডাউনের আজ শেষ দিন। এরপরই শুরু হবে কঠোর নিষেধাজ্ঞা। গতকাল মঙ্গলবার চলমান লকডাউনের দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে। বাস, লঞ্চ, ট্রেনসহ সকল গণপরিবহন বন্ধ ছিলো। ব্যাংক, বীমা, অফিস, আদালত খোলা থাকলেও কাজ হয়েছে সীমিতভাবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারী বাজারসহ অন্যান্য হাটবাজারে কেনাকাটা ছিল স্বাভাবিক। শহরের নিয়ন্ত্রিত যানবাহন চলার মধ্যেও শহরে মানুষের যাতায়াত ছিল চোখে পড়ার মতো। তাদের দুর্ভোগও কম ছিলো না। লকডাউনের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে সড়কগুলোতে যান চলাচল কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের যাতায়াত ও যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যায়।
শহরের মোড়ে মোড়ে যানবাহন থামিয়ে চেক করছে পুলিশ। প্রধান প্রধান সড়কগুলোকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। শহরে রিকশার দাপট দেখা গেছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও ছিলো বেশি। পাশাপাশি সিএনজিচালিত অটোরিকশাও চলতে দেখা গেছে। জনসাধারণকে করোনার বিষয়ে সজাগ ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিমের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট ও মার্কেট আগের মতো বন্ধ ছিলো। তবে দুপুরের পর বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তায় মানুষ ও যানবাহন চলাচল কমে যায়।
এদিকে এই লকডাউনের কারণে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ ও কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়েছে। অনেকের আয় রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে আছে। জরুরি প্রয়োজনে মানুষ দূরে কোথাও যেতে পারছে না।