প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে ডাঃ পরেশ পালের প্রতিবাদ ও বক্তব্য
গতকাল বৃহস্পতিবার দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ ॥ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ডাঃ পরেশ পাল’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডাঃ পরেশ চন্দ্র পাল। তিনি এক প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করেন, আমি সংবাদটি পড়ে বিস্মিত হয়েছি। চাঁদপুর কণ্ঠের মতো একটা দায়িত্বশীল পত্রিকায় এমন অন্তঃসারশূন্য সংবাদে আমি হতবাক। তিনি বলেন, আমি যখন সরকারি চাকরিজীবী ছিলাম তখন পেশাদারিত্ব বজায় রেখেছি। আর চাকরি থেকে অবসর নিয়ে চিকিৎসা পেশাকে উপজীব্য করে সততার সাথে ব্যবসা করে আসছি। আমি কখনো কোনো দলীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার প্রশ্নই উঠে না। ফরিদগঞ্জে দল-মত নির্বিশেষে সবার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। ফরিদগঞ্জে রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও ক্রীড়াসহ সকল অঙ্গনে অন্যদের ন্যায় আমার সম্পৃক্ততা এবং সহযোগিতা ছিলো। এর চেয়ে ভিন্নতর কিছু না। এটাকে কেউ যদি কোনো রাজনৈতিক দলকে পৃষ্ঠপোষকতা বলে
তা দুঃখজনক। এছাড়া প্রকাশিত সংবাদে চারিত্রিক যেসব কুরুচিপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে তা খুবই দুঃখজনক। সবই মিথ্যা, বানোয়াট, ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমূলক। তিনি বলেন, আমার সমস্ত চাকরি জীবনের লব্ধ অর্থ এবং অবসরোত্তর জীবনের চিকিৎসক পেশা থেকে সঞ্চিত অর্থের সমন্বয়ে নির্মিত লাইফ জেনারেল হাসপাতালটি অংশীদার ভিত্তিক। এ প্রতিষ্ঠানটি মার্কেন্টাইল ব্যাংক ফরিদগঞ্জ শাখার অর্থায়নে নির্মিত। যার মাত্র শতকরা ৪০ ভাগ আমাদের পরিবারের। আমার একমাত্র ছেলে পলাশ পাল এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। সে গ্ল্যাক্সো ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে প্রকৌশল বিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে সুইডেন ভিত্তিক একটি বিমান নির্মাণকারী সংস্থায় কর্মরত। সে ছুটিতে তার বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখতে বছরে একবার দেশে আসে। আর পরিচালক শাহাবুদ্দিন সাহেব পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে ধর্মীয় বিধিনিষেধ মেনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আমি প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
- ডাঃ পরেশ চন্দ্র পাল
চেয়ারম্যান, লাইফ জেনারেল হাসপাতাল, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর।