প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউটস সম্পাদকের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন
দৃশ্যমান তদন্ত কমিটির গঠনের জন্যে ১২ ঘন্টার আল্টিমেটাম
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউটস সম্পাদক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা গেইট সম্মুখে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের স্কাউট, রোভার সদস্য ও শিক্ষার্থী সমাজের অংশগ্রহণে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রোভার রেদোয়ান খান, মেঘনাপাড় মুক্ত স্কাউট গ্রুপের ইউনিট লীডার জাহিদুল ইসলাম ফাহিম ও রোভার আব্দুল্লা আল আরিয়ান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বক্তারা বলেন, রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে যানজট নিরসনে কাজ করা শিক্ষার্থীদের নাস্তা ও খাবারের টাকা যে আত্মসাৎ করতে পারে, তার দ্বারা যে কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়া সম্ভব৷ শিক্ষকরূপী এই দুর্নীতিবাজের হাতে আমাদের উপজেলা স্কাউটস নিরাপদ নয়। আমরা প্রথম থেকেই বলছি, তার বিরুদ্ধে যতগুলো অভিযোগ আনা হয়েছে, তার তদন্ত করা হোক। যদি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভুল প্রমাণিত হয় কিংবা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়, তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হোক। আর উপজেলা স্কাউটস সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হলে তার লুট করা অর্থ ফেরত নিয়ে তাকে উপজেলা স্কাউটস সম্পাদক পদ থেকে অপসারণ করার মাধ্যমে উপজেলা স্কাউটসকে কলঙ্ক মুক্ত করা হোক। স্থানীয় প্রভাবশালীদের দিয়ে আমাদের স্কাউট সদস্যদের মামলা আর গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে লাভ নেই। আজকের এই মানববন্ধনের পর ১২ ঘন্টার মধ্যে যদি তদন্ত কমিটি গঠনপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহণ করা না হয়, তবে আমরা কঠোর থেকে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। উপজেলা স্কাউটস সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, গত সপ্তাহের বুধবার আপনার কাছে দুর্নীতিবাজের বিচার চেয়ে স্মারকলিপি প্রদান করার পরও তিন দিন অতিবাহিত হয়েছে। আপনি কোনো ব্যবস্থাগ্রহণ করেন নি। আন্দোলনটা যখন অনিয়ম দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে, দুর্নীতিবাজের বিচার আদায় করার জন্যে আমাদের কঠোর হতে বাধ্য করবেন না। যদি বিশ্বস্ত কোনো মহলের ধারা প্রভাবিত হয়ে তদন্ত কমিটি গঠন না করে থাকেন, তবে মনে রাখবেন অপসাশনের সেই দিন শেষ। তদন্ত কমিটি গঠন করুন, দোষী যেই হোক তাকে বিচারের আওতায় আনুন।
মানববন্ধনের পর স্কাউট ও রোভার সদস্যরা ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউটের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌলি মন্ডলের কাছে অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুব দ্রুতই বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্কাউট সম্পাদক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে গেল দুই ঈদে যানজট নিয়ন্ত্রণ কাজ করা স্কাউট সদস্যদের নাস্তা ও দুপুরের খাবার বাবদ বরাদ্দকৃত ৩৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ ও ভুয়া বিল ভাউচার করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন রোভার ও স্কাউট সদস্যরা।
উপজেলা স্কাউটস সম্পাদকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলার পর থেকে গত কয়েক দিনে তার বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতি ও অনিয়ম ধামাচাপা দিতে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি।