প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
পাইকপাড়ায় যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্তৃক ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর হামলা
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৭নং পাইকপাড়া ইউনিয়নে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্তৃক ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে করে ছাত্রদলের ৩ জন কর্মী আহত হন। লোক মারফত জানা যায়, ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর আড়াইটার সময় ইউনিয়নের শাশিয়ালী গ্রামের মজুমদার বাড়ির নিকট রিপন মেম্বারের ক্লাবের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিয়ে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাফাত (১৬), শান্ত (১৬) ও রাহিম (১৭) জানান, তারা ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী। তারা শনিবার দুপুর আড়াইটার সময় মজুমদার বাড়ির সামনের দোকানে চা-নাস্তা খেতে যায়। এ সময় হঠাৎ করে স্থানীয় মেম্বার যুবলীগের নেতা রিপন, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হাছান, যুবলীগের নেতা হাবিব কন্ট্রাক্টর, ছাত্রলীগের নেতা তুহিন তাদেরকে কিল-ঘুষি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারতে শুরু করে। এতে রাফাতের মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান, শান্তর হাত ও গলা কেটে যায়, রাহিমের হাতের তালু ফেটে যায়। বর্তমানে রাফাত ও শান্ত চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
বিষয়টি নিয়ে রাফাতের পিতা আব্দুল মালেক ও শান্তর পিতা মুকসুদ আলম জানান, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমাদের সন্তানরা কেন ছাত্রদের সাথে যোগ দিয়েছে এবং কেন আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে তার কারণেই আজ তারা আমাদের সন্তানদের ওপর এই সন্ত্রাসী হামলা করেছে।
ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হাছান, স্থানীয় মেম্বার ও যুবলীগের নেতা রিপন, হাবিব কন্ট্রাক্টর, ছাত্রলীগের নেতা তুহিন এরা এখনো এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। আমরা যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে এদের উচিত বিচার চাই। ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা মাসুদ আলম সজীব বলেন, ছাত্রদলের নিরীহ কর্মীদের ওপর আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগ যে সন্ত্রাসী হামলা করেছে তা মেনে নেয়ার মতো নয়। তিনি এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহিন মোল্লা বলেন, স্থানীয় মেম্বার ও যুবলীগের নেতা রিপন তার একটি বাহিনী দিয়ে এখনও এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। তিনি নিজে এবং তার বাহিনী দিয়ে আজ আমাদের ছাত্রদল কর্মীদের ওপর মারাত্মকভাবে হামলা করে। এখন ছাত্রদলের কর্মীরা হাসপাতালে ভর্তি আছে। উপজেলা বিএনপি নেতাদের সাথে আলাপ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান।