প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে জলাবদ্ধতায় ১০ হাজার ৬শ’ কৃষকের ৯শ’ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত
ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৬শ’ কৃষক পেলো প্রণোদনা
মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৬শ’ কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের খরিপ-২ মৌসুমে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে রোপা আমন ধানের উফশী বীজ, সার ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর সোমবার উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার একি মিত্র চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফয়সাল মোহাম্মদ আলী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আল আমিন, আরিফুর রহমান, সালাউদ্দিন মিয়াজীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি অফিসারবৃন্দ।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ফসলের জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে আমনের বীজতলা ও রোপা আমনের বেশি ক্ষতি হয়েছে। মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে জলাবদ্ধতায় ১০ হাজার ৬শ’ ৪১ কৃষকের ৯শ’ ১১ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও জমির পরিমাণ আরও বেশি হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, আপনাদের আজ যে বীজ দেয়া হয়েছে তা ইতোমধ্যে হিমাগারে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে বের করে আনা হয়েছে। তাই এই বীজ ভেজানোর আগে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে, এই ধান বীজতলায় ১৫-১৬ দিনের বেশি রাখা যাবে না। এটা বিশেষ বীজ। ১০০ দিনের মধ্যে এই বীজের ফসল আসে। যা আমন বীজতলা ১৭ নামে পরিচিত।